শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে যে ব্যবস্থা নিলো বুয়েট প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩২ পিএম, ৩০ মার্চ,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:৩১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
গত ২৭ মার্চ মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রবেশের প্রতিবাদে শুক্রবার আন্দোলনে নামেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এতে ছাত্রলীগকে সহযোগিতাকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণসহ ৬ দফা দাবি পেশ করেন তারা। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কিছু দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে বুয়েট উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগকে সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলের সিট বাতিল, তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকার কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে-
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (স্টুডেন্ট নম্বর ২১০৪১৪১) হলের সিট বাতিল করা হলো।
২. এছাড়া সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদান করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্ম/সেমিস্টার ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এর আগে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট বাতিল করা হবে। আর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হলে সেটা ডিসিপ্লিন কমিটিতে যাবে। সেখান থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ নোটিশ) দেওয়া হবে এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের পথ সুগম হবে।
প্রসঙ্গত, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা আন্দোলন শুরু করেন।