পরিচয় বদলে যাচ্ছে শিক্ষা কর্মকর্তাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৪ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:৪৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের পদবি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মার্চের শেষদিকে সচিব কমিটির সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন পেতে পারে। তবে পদের নাম বদলালেও এই কর্মকর্তাদের বেতন গ্রেডে কোনো পরিবর্তন হবে না বলে জানা গেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘শিক্ষা অফিসারদের পদবি পরিবর্তন করে ‘প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার’ করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসারদের পদবি পরিবর্তন করে উপজেলা বা থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার করা হচ্ছে। দুই ক্ষেত্রেই নবম গ্রেডে (প্রথম শ্রেণি) বেতন-ভাতা পান কর্মকর্তারা। পদের নাম বদলালেও আগের মতোই
বেতন-ভাতা পাবেন তারা।
একইভাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষা অফিসারদের পদ হবে ‘সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার’। উপজেলা বা থানার ক্ষেত্রেও একই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এই কর্মকর্তারা আগের মতোই দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মার্শাল ল কমিটি অন অর্গানাইজেশনাল সেট আপ কমিটির সুপারিশে উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার পদটি সৃষ্টি হয়। পরে দীর্ঘদিন পদনামটি পরিবর্তনের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো পদনাম পরিবর্তনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন উপজেলা পর্যায়ের উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার পদটি ‘মার্শাল ল কমিটি অন অর্গানাইজেশনাল সেট আপ’ কমিটির সুপারিশকৃত একটি পদ। ২০২৩ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার ডিসি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন উপজেলা পর্যায়ের উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদটির নাম পরিবর্তন করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাম করার প্রস্তাব করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবে সম্মতি দেয়। কিছু শর্ত সাপেক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ও পদনাম পরিবর্তনে সম্মতি দিয়েছে। দুই মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর এখন সরকারি আদেশ বা জিও জারির জন্য প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। এজন্য এ কমিটিতে প্রস্তাবটি তোলার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে মার্চের শেষদিকে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠক হতে পারে। ওই বৈঠকে শিক্ষা অফিসারদের পদনাম পরিবর্তন চূড়ান্ত হবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।