ফেল করেও জিপিএ-৫ পেলেন ৮ শিক্ষার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫৯ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
যশোর শিক্ষা বোর্ডে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করা আটজন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে আরো ৬৫ জন। সর্বমোট ৭৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। সবমিলিয়ে পাস করেছে ১২৪ জন।
উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নে এই ফল এসেছে বলে শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
শিক্ষাবোর্ড থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, পাস করা ১২৪ জনের মধ্যে ‘এফ’ গ্রেড থেকে ‘এ প্লাস’ পেয়েছে আটজন, ‘এফ’ থেকে ‘এ’ পেয়েছে তিনজন, ‘এফ’ থেকে ‘এ মাইনাস’ ১১ জন, ‘এফ’ থেকে ‘বি’ পেয়েছে চারজন, ‘এফ’ থেকে ‘সি’ পেয়েচে ছয়জন, ‘এফ’ থেকে ‘ডি’ ১১ জন, ‘সি’ থেকে ‘বি’ পেয়েছ একজন, ‘বি’ থেকে ‘এ প্লাস’ পেয়েছে একজন, ‘বি’ থেকে ‘এ’ দু’জন, ‘বি’ থেকে ‘এ মাইনাস’ দু’জন, ‘এ মাইনাস’ থেকে ‘এ প্লাস’ আটজন, ‘এ মাইনাস’ থেকে ‘এ’ ১১ জন এবং ‘এ’ থেকে ‘এ প্লাস’ পেয়েছে ৫৬ জন পরীক্ষার্থী।
এ বছর যশোর শিক্ষাবোর্ডে এসএসসির উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের জন্য ১২ হাজার ৮১৬ পত্রে আবেদন করে পরীক্ষার্থীরা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বিষয়ে। এ বিষয়ে দু’হাজার ৪৮৪টি আবেদন জমা হয়। এছাড়া বাংলা প্রথমপত্রে ৯৬৭, বাংলা দ্বিতীয়পত্রে ৭০১, ইংরেজি প্রথমপত্রে এক হাজার ৫৮৩, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রে এক হাজার ১৭৫, গণিতে ৭৬১, ভূগোল ও পরিবেশে ৪৬০, উচ্চতর গণিতে ৩৭৯, কৃষি শিক্ষায় ৩২৮, পদার্থ বিজ্ঞানে এক হাজার ৯০, রসায়নে এক হাজার ১২৮, জীববিজ্ঞানে ৫৭৫, পৌরনীতি ও নাগরিকতায় ৪১৫, অর্থনীতিতে ২৩৯, ব্যবসায় উদোগে ১১৬, হিসাব বিজ্ঞানে ১৪৩, সাধারণ বিজ্ঞানে ৩৮ এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে ২৮৮ আবেদন জমা পড়ে।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় দেশের সবকয়টি বোর্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ পাসের হার ছিল যশোর বোর্ডে। জিপিএ-৫ও বেশি পায় এই বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা। এবার যশোর বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পায় ৩০ হাজার ৮৯২ পরীক্ষার্থী। পাসের হার ছিল ৯৫.১৭ ভাগ। এ অবস্থার মধ্যেও প্রায় ১৩ হাজার পরীক্ষার্থী তাদের ফলে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এ কারণে তারা তাদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করে।
২০২২ সালে যশোর বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করে এক লাখ ৭২ হাজার ৮৩ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পরীক্ষা দেয় এক লাখ ৬৯ হাজার ৫০১ জন। পাস করে এক লাখ ৬১ হাজার ৩১৪ পরীক্ষার্থী।
পাস করাদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২০ হাজার ৩০১ ছেলে ও ১৭ হাজার ৪৬৭ মেয়ে, মানবিক বিভাগে ছেলে ৪৮ হাজার ৮৫ ও মেয়ে ৫৩ হাজার ৬২৭ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১২ হাজার ৪৭২ ছেলে ও নয় হাজার ৩৬২ জন মেয়ে ছিল।
জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যে ছিল ১৩ হাজার ৬১৭ ছেলে ও ১৭ হাজার ২৭৫ জন মেয়ে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১১ হাজার ৭৭৭ জন ছেলে ও ১১ হাজার ৯২৪ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ৮৬২ জন ছেলে ও তিন হাজার ৭০৩ জন মেয়ে এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৯৭৮ জন ছেলে ও এক হাজার ৬৪৮ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পায়। এছাড়া, জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর নিচে পায় ৫৪ হাজার ৭৫০, জিপিএ-৩.৫ থেকে ৪-এর নিচে পায় ৩২ হাজার ৫৯০, জিপিএ-৩ থেকে ৩.৫-এর নিচে পায় ২৫ হাজার ১৩০, জিপিএ-২ থেকে ৩-এর নিচে পায় ১৭ হাজার ১৫৭ এবং জিপিএ-১ থেকে ২-এর নিচে পায় ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী।
ফেল করা থেকে জিপিএ-৫ পাওয়াসহ ১২৪ জনের পাস করার বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরীক্ষকরা ফলাফল শিটে বৃত্ত ভরাট করার ক্ষেত্রে ভুল করেছেন। যারা এমনটি করেছেন তাদেরকে উত্তরপত্র মূল্যায়ন সংক্রান্ত কাজে সাময়িক বিরত রাখা হবে।