৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ছাড়া পেলেন চবির চারুকলার ১২ শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৩ এএম, ২১ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৩৫ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ছাড়া পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের ১২ জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর আছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা ইনস্টিটিউটে এসেছিলেন। বিকেল ৫টা থেকে তারা অবরুদ্ধ হন। ছাড়া পান দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে।
অবরুদ্ধ থাকা ব্যক্তিরা হলেন- ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রণব মিত্র চৌধুরী, শিক্ষক সুফিয়া বেগম, উত্তম কুমার বড়ুয়া, নিত্যানন্দ গাইন, শারদ দাশ, উম্মে তানিয়া, জাহেদ আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, কাজল দেব নাথ, মুহাম্মদ ওবায়দুল কবির, হ্লু বাই শু চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব ও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এম এ সাকুর।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে নেওয়ার কাগজপত্র নেবেন বলে ইনস্টিটিউটের ভেতরে ঢুকতে চান শিক্ষকেরা। এ কারণে তারা ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের তালা খুলে দেন। কিন্তু শিক্ষকেরা ব্যক্তিগত কাগজপত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতেই তারা ইনস্টিটিউটের ভেতরে গিয়েছিলেন। তবে শিক্ষকদের আয়কর রিটার্নের কিছু কাগজপত্র ইনস্টিটিউটের কার্যালয়ে ছিল। কয়েকজন শিক্ষক তা নিয়েছিলেন। কিন্তু তার জেরে শিক্ষার্থীরা যে ধরনের আচরণ শিক্ষকদের সঙ্গে করেছেন, তা দুঃখজনক।
গত বুধবার থেকে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে ইনস্টিটিউটের ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে সেদিন থেকেই কার্যত অচল রয়েছে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম।
চারুকলার সমস্যা সমাধানে গত ১১ নভেম্বর ১৪ সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে চারুকলার ১১ শিক্ষক ছাড়াও সহকারী প্রক্টর মুহম্মদ ইয়াকুব আছেন।
ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহীদ বলেন, শিক্ষকরা কাগজপত্র নেওয়ার শর্তে ইনস্টিটিউটের ভেতরে ঢুকেছিলেন। এ কারণে কোনো ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে বের হতে দেওয়া হয়নি। রাত সোয়া ২টার দিকে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছাড়াই তারা ইনস্টিটিউট থেকে বের হন।
২২ দফা দাবিতে গত ২ নভেম্বর ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তখন থেকে ক্লাস বর্জন অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।