এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিতর্ক, অভিযুক্তদের তালিকা প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ৮ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩৬ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
চলতি এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় উঠে এসেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। পরীক্ষার প্রশ্নে এ ধরনের বিষয় তুলে ধরায় সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অনেকে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা বোর্ড থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- বাংলা প্রথমপত্রের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রণীত। প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানির সঙ্গে জড়িত প্রশ্নকর্তা ঝিনাইদহের মহেশপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। অপরদিকে প্রশ্নপত্র পরিশোধনের দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। গত রবিবার (৬ নভেম্বর) সারাদেশে এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ১১ নাম্বার প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’ এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় আসাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়া থাকে প্রশ্ন তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই যেন সাম্প্রদায়িক কোনোকিছু না থাকে। এটা খুবই দুঃখজনক যে, কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়তো এই প্রশ্নটি করেছেন, যিনি মডারেট করেছেন তার দৃষ্টিও হয়তো কোনো কারণে এড়িয়ে গেছে। তিনিও হয়তো স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি নিয়েছেন। আমরা চিহ্নিত করছি কে এই প্রশ্ন তৈরি করেছেন এবং কে মডারেট করেছেন। আমরা তাদের খুঁজে বের করে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।