উচ্চশিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জনে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ : ইউজিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২০ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:২৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
শিক্ষার কাক্সিক্ষত মান অর্জনে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। আর এ জন্য শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আন্তর্জাতিকীকরণে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে পর্যালোচনামূলক কর্মশালায় এসব কথা বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। ইউজিসি থেকে প্রকাশিতব্য ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা বিষয়ে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ইউজিসিতে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষার বিস্তারে সরকার নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে। উচ্চশিক্ষার বিস্তারে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ প্রসংশনীয়। তবে উচ্চশিক্ষার বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার কাক্সিক্ষত মান অর্জনে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আন্তর্জাতিকীকরণে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যায়গুলো সম্মানজনক অবস্থান অর্জন করতে ব্যর্থ হবে। বার্ষিক প্রতিবেদন ডিজিটালাইজেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি ডায়নামিক সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলমান আছে। এটি চূড়ান্ত হলে বার্ষিক প্রতিবেদন যথাসময়ে ও নির্ভুলভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হবে। ইউজিসি গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র্যাংকিংয়ে কাক্সিক্ষত স্থান পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। দেশ-বিদেশের ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী বিনিময় প্রোগ্রামে তথ্যসমৃদ্ধ বার্ষিক প্রতিবেদনের গুরত্ব অপরিসীম। নির্ভুল বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরিতে সংশ্লিষ্টদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে জমা দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। ইউজিসি গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহীন সিরাজের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একই বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক নাহিদ সুলতানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বার্ষিক প্রতিবেদন ও তথ্য ছক পূরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও বিশ্বনাথ বিশ্বাস। কর্মশালায় ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বার্ষিক প্রতিবেদনে ইউজিসিসহ দেশের ৫০টি পাবলিক ও ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১ সালের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো সংক্রান্ত তথ্য যুক্ত করা হবে। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তসমূহ পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং সংশ্লিষ্টদের মতামত অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চূড়ান্তকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উল্লেখ্য, ইউজিসি আইন ১৯৭৩ অনুসারে ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।