কুবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পরীক্ষা স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:১৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকের মাধ্যমে আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবারের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ইতোমধ্যে চিঠি ইস্যু করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। রোববার ও সোমবারের সেমিস্টার পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো পরবর্তী সময়ে রিশিডিউল করে নেওয়া হবে। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. মোসাদ্দেক-উল- ইসলাম বলেন, ‘যারা আহত হয়েছে তাদের সুস্থতার জন্য আমরা দুদিন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা বন্ধ রেখেছি। তবে ক্লাস চলমান থাকবে।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক নিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হল ও বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাগবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতিতে জড়ান। বিষয়টি হলের সিনিয়র নেতারা সমাধান করে দিলেও রেশ থেকে যায় দুই হলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
পরে রাত সাড়ে ১১টায় নজরুল হলের কয়েকজন বঙ্গবন্ধু হলের সামনে খাবার খেতে গেলে আবার হাতাহাতি শুরু হয় তাদের মধ্যে। এ সময় দুই হলের নেতাকর্মীরা লাঠি, স্টাম্প, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে ইট ছুটতে থাকে। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু হলের নেতাকর্মীরা নজরুল হলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারা নিজ হলে ঢুকে যান।
এরই জেরে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ফের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।