চবির ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলে বড় ধরনের অসঙ্গতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ২৪ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১৩ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চলমান ২০২১-২২ সেশনের প্রথমবর্ষের ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে বড় ধরনের অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এক শিক্ষার্থীর দেয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে এই গোঁজামিলের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১২০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১০০ নম্বর লিখিত ও ২০ নম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএ থেকে নির্ধারণ করা হয়। জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ডাটা সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে টেলিটকের মাধ্যমে সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল। তবে এবার যশোর বোর্ডের জিপিএ নম্বরের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত জিপিএর তিন ডিজিটের শেষ ডিজিট গণনা করা হয়নি বলে এ ইউনিটের এক ভর্তিচ্ছু অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে ‘এ’ ও ‘সি’ দুই ইউনিটে একই অসঙ্গতির প্রমাণ মিলেছে। তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিট কো-অর্ডিনেটর ও জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটরদের দাবি, আইসিটি সেলের কারণে এমন ভুল হয়েছে। তবে আইসিটি সেলের দাবি ‘এটা আসলে টেকনিক্যাল অ্যারোর’। অনিচ্ছাকৃতভাবে এই ভুল হয়েছে।
আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, আমরা এইচএসসি ও এসএসসির জিপিএ ডাটাটা টেলিটক থেকে কিনে নিই। এরমধ্যে সব বোর্ডের ডাটাগুলো ঠিক থাকলেও শুধুমাত্র যশোর বোর্ডের এসএসসির জিপিএর তিন ডিজিটের মধ্যে শেষ ডিজিটটা মিসিং ছিল। যেমন ৩.৭৯ এর মধ্যে ৯টা মিসিং। এই ভুলটা ধরতে পারেনি। এমনকি যশোর বোর্ড থেকে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা গত তিন মাস প্রোফাইলে এমন ভুল দেখেও আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি। তাদের প্রোফাইলে এই ভুলটা এখনো আছে। শিক্ষার্থীরাও বিষয়টি হয়তো খেয়াল করেনি।
তিনি বলেন, টেলিটক থেকে যখন আমরা ডাটা সংগ্রহ করি তখনও কুমিল্লা বোর্ডের কিছু ডাটাও মিসিং ছিল। যেগুলো আমরা পরে সংগ্রহ করি। আবার অনেক শিক্ষার্থী, বিশেষ করে যারা কোটাধারী তাদের আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়। যেগুলো আমরা জানার সাথে সাথে সমাধান করে ফেলি। কিন্তু যশোর বোর্ডের ডাটা মিসিংটা টেকনিক্যাল অ্যারোরের কারণে ধরা যায়নি। ফলাফল অসঙ্গতির বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ফলাফল প্রকাশ হওয়ার দুদিন পর যশোর বোর্ডের ‘এ’ ইউনিটের এক ছাত্র বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। আমরা সাথে সাথে অভিযোগটি আমলে নিয়ে কাজ শুরু করি। পরে দেখা যায় শুধুমাত্র তার নয়, পুরো যশোর বোর্ডের অধীনে থাকা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এমন অ্যারোর দেখা গিয়েছে। যেহেতু একটি বোর্ডের সমস্যা দেখা দিয়েছে তাই অন্যন্যা বোর্ডের ইনফরমেশনও আমরা চেক করি। যেখানে অন্য বোর্ডগুলোতে কোনো সমস্যা ছিল না। শুধু যশোর বোর্ডের জিপিএর শেষ ডিজিট মিসিং ছিল।
এদিকে এই অসঙ্গতি নিয়ে করণীয় ঠিক করতে গতকাল বুধবার দুপুরে জরুরি সভা আহ্বান করেছে ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটি। এতে এই ২৭৬ জনের মেরিট পজিশন পরিবর্তন হওয়ার কথা রয়েছে।