ছাত্রলীগের কর্মসূচি দেয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল বুয়েট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ১৩ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪১ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাজনীতি নিষিদ্ধ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কর্মসূচি দেয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ফলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজ শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বুয়েট অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিকেল ৫টায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভা করার কথা ছিল। কিন্তু বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও ছাত্রলীগের ব্যানারে কর্মসূচি দেয়ার প্রতিবাদে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা (প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত) ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের প্রশ্নের মুখে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতাকর্মীরা বারবার শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করলে চারদিক থেকে প্রতিবাদের ধ্বনি উঠতে থাকে এবং শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করতে থাকেন। তারা জবাবে নেতাকর্মীদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আমরা সবাই পালন করতে পারি। আমাদের কতৃপক্ষ আছে, স্যারেরা আছে। ছাত্রলীগের ব্যানারে কেন এই প্রোগ্রাম করা হলো।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা- এই বুয়েটে হবে না’, ‘ছাত্রলীগ- খুনি’, ‘খুনিদের ঠিকানা- এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘আবরার ফাহাদের খুনিদের- বুয়েটে ঠাঁই নাই’ স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর রাত ৯টায় একটি প্রেস ব্রিফিং করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও আজ সেমিনার হল বুয়েট অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েটের সাবেক নেতৃবৃন্দদের আয়োজনে একটি ব্যানার দেখা যায়। উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে ২ জুলাই, ২০২২ তারিখ অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলে আরিফ রায়হান দিপের স্মৃতিফলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ৮ জুন, ২০২২ তারিখ সাবেকুন নাহার সনি-র স্মৃতিফলকে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে ব্যানার টানানো হয়।
তারা বলেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনের বারবার নিজেদের উপস্থিতি জানিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি পাওয়ায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এহেন কার্যক্রমের ব্যাপারে আমরা, বুয়েটের সকল সাধারণ শিক্ষার্থী, কর্তৃপক্ষের অবস্থান এবং সুস্পষ্ট জবাব আশা করছি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অডিটোরিয়ামের সামনে অবস্থান করছিলেন। তারা ভিসির কাছে ছাত্রলীগের এহেন কর্মকাণ্ডের সদুত্তর নেয়ার জন্যে অপেক্ষা করছেন বলে জানান।