ঢাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ৩ এপ্রিল,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩২ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদারের বিরুদ্ধে ওই হলের এক শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় ও হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার (১ এপ্রিল) গভীর রাতে দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী রাজিমুল হক রাকিব। তিনি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগের ‘প্রোগ্রামে উপস্থিত না থাকার অভিযোগে’ রাকিবকে রুমে ডেকে নিয়ে অভিযুক্ত তানভীর অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও চড়-থাপ্পড় মারেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার রাকিব বলেন, আমি আমার রুমে ঘুমাচ্ছিলাম। রাত দুইটার দিকে আমার এক বন্ধু জানালো তানভীর ভাই আমাকে তার রুমে ডাকছে। পরে জানতে পারি আমি আমার ইয়ারমেটসহ চারজনকে তিনি ডেকেছেন। বাকি তিনজনকে কথাবার্তার পর ছেড়ে দিলেও আমাকে নিয়মিত প্রোগ্রাম করি না কেন জিজ্ঞেস করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন।
রাকিব আরো বলেন, আমি গাঁজা খাই কিনা, আজেবাজে কিছু করি কিনা এরকম নানা প্রশ্নে তিনি আমাকে হেনস্তা করতে থাকেন। গালাগাল ও হেনস্তার এক পর্যায়ে উঠে এসে সজোরে চড় মারেন। এসময় তার কক্ষে আমার ইমিডিয়েট সিনিয়রসহ অনেকে ছিল। তাদের মধ্যেও কয়েকজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এর মধ্যে সামি ও সজীব আমাকে ব্যাপক গালিগালাজ করেছে। অভিযুক্ত তানভীর নিয়মিত প্রোগ্রাম না করলে হল থেকে নামিয়ে দেয়ার হুমকি দেন বলেও জানান ভুক্তভোগী রাকিব।
গত ফ্রেব্রুয়ারিতে ঘোষিত ছাত্রলীগের হল কমিটিতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন তানভীর শিকদার। অভিযোগ আছে তিনি ছাত্রলীগের নিয়মিত প্রোগ্রামে অনুপস্থিত থাকলে লিস্ট করে তাদের ডেকে এনে শাসান ও ক্ষেত্রবিশেষে গায়ে হাতও তুলেন।
তবে নিজের বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে তানভীর শিকদার বলেন, এ ধরনের কিছুই হয়নি। আমি শুধু হলে ক্রিকেট খেলার এক আয়োজনের দায়িত্ব বন্টনে জন্য তাদের ডেকেছিলাম। গালাগাল বা মারধরের প্রশ্নই আসেনা। ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী, প্রোগ্রামের জন্য কোন একজনকে জবাবদিহি করার প্রশ্নই আসে না।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মজিবুর রহমান জানান, আমি এ বিষয়ে শুনিনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।