চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ১০ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১৪ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার ছাত্রলীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫ জন। সংঘর্ষের পর দুইটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টা থেকে আড়াই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ‘দেশীয় অস্ত্র’ উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। এ সময় হলের প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে ২টি রামদা, ৬/৭টি ক্রিকেটে খেলার স্টাম, কিছু কাচের বোতল এবং শাহ আমানত হল থেকে ৩ টি রামদা, একটি বিদেশী খালি মদের বোতল, ১৬টি লোহার পাইপ, রড ও ৩টি বটি উদ্ধার করে পুলিশ।
বিজয় গ্রুপের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল রুবেলের অনুসারীরা র্যাগ ডে অনুষ্ঠানে গিয়ে ঝামেলা করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা দুটি হলে তল্লাশি চালিয়েছি। পুলিশ আমাদের সহায়তা করেছে। এসময় দুইটি হল থেকে রামদা, গুলতি, কাচের বোতল ও রডসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি।
গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলের মধ্যবর্তী স্থানে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক (শাটল ট্রেনের) উপ-গ্রুপ বিজয় ও সিএফসি সদস্যদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের র্যাগ ডে অনুষ্ঠানে আয়োজিত কনসার্টে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এই দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।সংঘর্ষে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্যাম্পাসে উভয় গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একইস্থানে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
চবি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে অর্থনীতি বিভাগের র্যাগ ডে উপলক্ষে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। সিএফসির কিছু নেতা-কর্মী ওই কনসার্টে ঢুকতে গেলে বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। এ ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বিজয়ের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী ও সিএফসির নেতা-কর্মীর শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে ধাওয়াপালটা-ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এই অবস্থা।