এ বছর পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন জিপিএ-৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৬ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩৭ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। যাতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন।
আজ রবিবার গণভবন থেকে ফল প্রকাশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বোর্ডের চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে ফল হস্তান্তর করেন। ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত আছেন।
১১ শিক্ষাবোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, বরিশাল বোর্ডে পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫.৭৬ ভাগ। অপরদিকে এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন নয় হাজার নয় শ’ ৭১ জন।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৪.৮০ ভাগ। মোট চার হাজার সাত শ’ ৩১ জন এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৭.৪৯ ভাগ। এই বোর্ড থেকে মোট ১৪ হাজার এক শ’ ৫৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
দিনাজপুর বোর্ডে ৯২.৪৩ ভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। মোট ১৫ হাজার তিন শ’ ৪৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন এই বোর্ড থেকে।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯৭.২৯ ভাগ শিক্ষার্থী। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২ হাজার আট শ’ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ৮৯.৩৯ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৩ হাজার সাত শ’ ২০ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান এই বোর্ড থেকে।
৯৮.১১ ভাগ শিক্ষার্থী এইসচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন যশোর বোর্ড থেকে। মোট ২০ হাজার আট শ’ ৭৮ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন এই বোর্ড থেকে।
ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে ৯৫.৭১ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। অপরদিকে এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন সাত হাজার ছয় শ’ ৮৭ জন।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯৭.৪৫ ভাগ শিক্ষার্থী।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯২.৮৫ ভাগ শিক্ষার্থী।
করোনার কারণে ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গত ডিসেম্বরে নেয়া হয়। এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গতবারের চেয়ে এবার ৩৩ হাজার ৯০১ পরীক্ষার্থী বেশি ছিল।
গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে নম্বর ও সময় কমিয়ে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও দেশের বাইরে থাকা বিভিন্ন কেন্দ্রের খাতা মূল্যায়নে দেরি হয়।