সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ১৪ জুলাই,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ১০:২৩ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে জাতীয় পার্টি ও দলের অঙ্গ সংগঠনগুলো। দলের শীর্ষ ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির।
কর্মসূচিগুলো হলো— আজ (১৪ জুলাই) সকাল ৬টায় রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল ৬টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কোরআন তেলাওয়াত মাইকযোগে প্রচার, বেলা ১১টায় নগরীর পল্লী নিবাসে সমাধি অঙ্গনে কোরআন তেলাওয়াত, এরশাদের বিভিন্ন সময়ের ভাষণ প্রচার, কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও তবারক বিতরণ, বাদ আসর নগরীর বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় পার্টির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ পৃথকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।
এতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগর ও জেলার সভাপতি, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এছাড়াও জেলার প্রতিটি পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮২-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৯ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিসহ গ্রাম-বাংলার উন্নয়নে কাজ করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক বিল মওকুফসহ উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তকও ছিলেন সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধান। তার আমলেই মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ওষুধ নীতি প্রণয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ঢাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণ, যমুনা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণসহ তার যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগুলো এখনো প্রশংসনীয়।
১৯৮৬ সালে এরশাদ প্রতিষ্ঠা করন জাতীয় পার্টি। শুরু থেকেই বৃহত্তর রংপুর ছিল জাতীয় পার্টির দুর্গ। এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কারাগারে থেকে পাঁচটি আসনে জয় লাভ করেন। যার নেপথ্যে ছিল এরশাদের জনপ্রিয়তা এবং রংপুরের মানুষের ভালোবাসা। এ কারণে মৃত্যুর আগেও রংপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর পর ঢাকায় দাফন কার্য সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও রংপুরের মানুষ এরশাদকে পল্লী নিবাসে সমাহিত করেন।
এদিকে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকীতে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদপন্থি দুটি অংশই পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির একাংশ (জিএম কাদের) রোববার বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্মরণসভার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলটির চেয়ারম্যান এবং বিরোধী দলের নেতা জিএম কাদের। এছাড়াও জাপার কাকরাইল এবং বনানী কার্যালয়ে দিনব্যাপী দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সকালে দলীয় কার্যালয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন নেতারা।
অন্যদিকে জিএম কাদের অনুসারীদের আয়োজন থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরত্বে বিভিন্ন সময়ে স্মরণসভার আয়োজন করেছে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থিরা। রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে স্মরণসভায় রওশন এরশাদ সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।