সরকারের বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার আছে: ব্যারিস্টার সুমন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ২৫ জুন,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:১৩ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দেশজুড়ে আলোচিত বিষাক্ত সাপ রাসেলস ভাইপার সরকারের মধ্যেও চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সাপ ধরতে বেজি লাগে, সরকারে সেই পরিমাণ বেজি নেই বলে মনে করেন স্বতন্ত্র এই এমপি।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘রাসেলস ভাইপার সাপ সরকারে চলে আসছে। যখন সাপ আসে প্রকৃতিতে বেজি থাকে। এই বেজি সাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই সরকারে বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার আছে, কিন্তু ওই পরিমাণ বেজি নেই যে সাপ ধরবে।’
সুমন বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। একজন ভদ্রলোককে (মতিউর) দুদক ধরতে পারেনি, এনবিআর ধরতে পারেনি, বাংলাদেশ ফাইনেন্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ধরতে পারেনি- এনবিআরের মতিউরকে ধরলো একটা ছাগল। ছাগল ছাড়া এই লোককে ধরা যেত না।’
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সমালোচনা করে সুমন বলেন, ‘তিনি কত বড় হয়ে গেলেন মন্ত্রণালয় জানল না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানলেন না। এই বাচ্চাটা এত বড় হয়ে গেল, আর কিছুদিন সুযোগ পেলে পুরো গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন। তারপরও বলব, এর দায় এই মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।’
সংসদ সদস্য বলেন, ‘টাকা পাচার এখন দেশের বড় একটা সমস্যা। টাকা পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না। কেউ দুর্নীতি করলে দুর্নীতির টাকা অর্থনীতিতে নিয়ে আসা যায়, কিন্তু টাকা পাচার হয়ে গেলে পাচার হওয়া টাকা যেই দেশে যায় সেই দেশের অর্থনীতির অংশ হয়ে যায়। আমরা যেখানে বঙ্গবন্ধুর খুনিকেই ফেরত আনতে পারিনি সেখানে পাচার টাকা ফেরত আনবো কীভাবে? টাকা পাচারের কারণে আমাদের বাজেট সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে সুমন বলেন, ‘সরকারকে কয়েকটি প্রেশার নেওয়া লাগবে। এই প্রেশারের বিষয়ে আমি সাজেশন দিতে চাই। এই বাজেটে ঋণ দিয়ে উন্নয়ন ব্যয় মেটানো হবে। আড়াই লাখ কোটি টাকার লোন নেওয়া হবে। দেড় লাখ কোটি নেওয়া হবে ব্যাংক থেকে।’
সংসদ সদস্যদের গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে সুমন বলেন, ‘সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। এটা প্রশংসার যোগ্য। মুদ্রা সংকোচননীতি গ্রহণ করেছেনে এটাও ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সংকোচন করতে গিয়ে আমাদের এমপিদের ওপরও সংকোচন শুরু হয়ে গেছে। আমাদের গাড়ির ওপর ২০ শতাংশ কর চলে আসল। আমাদের ট্যাক্স মওকুফ করার কথা কিন্তু এখন ২০ শতাংশ কর দিতে হবে।’