ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন অন্তঃসারশূণ্য, দেশবিরোধী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ৪ জুন,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:০৫ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব, এর অন্য কর্তাব্যক্তিরাসহ সারা বিশ্ব বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করছে, তাদের নিয়ে ডয়চে ভেলের নেতিবাচক প্রতিবেদন অন্তঃসারশূণ্য, দেশবিরোধী।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের সারমর্ম বোঝা বড় মুশকিল, কারণ কোনো তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তা করা হয়নি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের অবদানকে খাটো করার জন্য সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ডয়চে ভেলে মাঝেমধ্যেই এমন প্রতিবেদন করে, যা দেশের স্বার্থবিরোধী এবং দেশকে ‘আন্ডারামাইন’ করে। সেজন্য ঠিক ডয়চে ভেলের নয় বরং সেখানে কিছু বাঙালি আছে তারা এগুলোর সঙ্গে যুক্ত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। জাতিসংঘ মহাসচিব তার সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের অন্যান্য কর্তাব্যক্তিরাও আমাদের বাহিনীর দক্ষতার প্রশংসা করেছেন এবং এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৬৯ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের বিভিন্ন মিশনে দায়িত্বপালনকালে আত্মদান করেছেন, সেটিও বিশ্বময় অত্যন্ত সম্মানিত হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান এ দেশে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। সে কারণেই খন্দকার মোশতাক ক্ষমতা নেওয়ার পর জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। সেনাবাহিনীর প্রধান থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। এটি কোনো গণতান্ত্রিক বিধি-বিধান নয়।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর সাত্তার সাহেব রাষ্ট্রপতি ছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রায় দশ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তারা কেন জিয়া হত্যার বিচার করল না? তারা নিশ্চয়ই কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোবে বলেই জিয়া হত্যার বিচার করেনি। প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমানই গণতন্ত্রের হত্যাকারী।