এমপি আনার হত্যায় আরও ৩ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৩ এএম, ৪ জুন,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:১২ পিএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় আরও ৩ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে তদন্ত সংস্থা ডিবি। তারা হলেন- তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজী, মো. জামাল হোসেন ও চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া।
সোমবার (০৩ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যে ১০ আসামির ব্যাংক হিসেবের তথ্য পেতে আদালতে আবেদন করেন, ওই তিনজনের নাম সেখানে রয়েছে। যদিও এর আগে তাদের নাম আলোচনায় ছিল না।
ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজী ও জামাল হোসেনের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে। আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের বাড়িও একই এলাকায়। ওই দুইজন শাহীনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আরিয়াকে শাহীনের বান্ধবী হিসেবে চেনে সবাই। আনারকে ১৩ মে হত্যার আগে প্রথম দফায় হত্যাচেষ্টায় কলকাতায় এই আরিয়াকে নিয়ে গিয়েছিলেন শাহীন।
ডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, তাজ ও জামালের সঙ্গে এমপি আনার খুনের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের যোগাযোগ ছিল। জামাল শাহীনের সমবয়সী হলেও তাজের বয়স বেশি।
সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান ১০ আসামির নাম উল্লেখ করে তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন।
১৩ মে এমপি আনারকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় সেখানে মামলা হলেও আনারের মেয়ে ডরিন তার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ তুলে ঢাকায় শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল কালবেলাকে বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ও পলাতক ১০ আসামির জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্টের নম্বরের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কতোটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে আদালত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে আসামিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সরবরাহের আদেশ দেন।
শিমুল ভুইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইয়া ওরফে আমানুল্যা সাইদ, তানভীর ভূইয়া, শিলাস্তি রহমান, আক্তারুজ্জামান শাহীন, সিয়াম হোসেন, ফয়সাল আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, চেলসি চেরী ওরফে আরিয়া, তাজ মোহাম্মদ খান হাজী এবং মো. জামাল হোসেনের ব্যাংক হিসেবের তথ্য চান তদন্ত কর্মকর্তা।
ডিবি সূত্র জানায়, তাদের মধ্যে শিমুল ভূইয়া, তানভীর ও সেলেস্তি রহমান ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবারই আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দেয় শিলাস্তি। অপর দুইজন রিমান্ডে রয়েছে। ঢাকার ডিবির চোখে অপর সাত আসামি পলাতক থাকলেও সিয়ামকে নেপালে দেশটির পুলিশ আটক করেছে বলে খবর বেরিয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা তার আবেদনে বলেন, মামলার মূল রহস্য উৎঘাটন ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ আসামির এনআইডি ও পাসপোর্ট নম্বারের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কয়টা একাউন্ট রয়েছে, তার তথ্য দরকার।