দোষারোপের রাজনীতি করবেন না, তাপসকে সাঈদ খোকন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ১৮ মে,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:১২ এএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস মনগড়া ও অসত্য তথ্য দিচ্ছেন দাবি করে দোষারোপের রাজনীতি না করতে তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন একই সিটির সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন এই দাবি জানান।
সাঈদ খোকন বলেন, আমি মেয়র থাকার সময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ২০১৯ সালে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। দেশের পত্রপত্রিকাসহ সব জায়গায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। এরপরও মেয়র তাপস ডেঙ্গু আক্রান্ত নিয়ে যা বলেছেন তা বোধগম্য নয়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় দোষারোপের রাজনীতি না করে একসঙ্গে কাজ করার আশা জানান সাঈদ খোকন।
গত বুধবার (১৫ মে) শেখ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দাবি করেন, মশা নিয়ন্ত্রণের কারণে ২০১৯ সালের তুলনায় (সাঈদ খোকনের আমল) ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী অর্ধেক কমেছে। সেই বক্তব্যের জবাব দিতেই মূলত আজ সংবাদ সম্মেলনে আসেন আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।
সাঈদ খোকন বলেন, ২০১৯ সালে যখন আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে ছিলাম, তখন ডেঙ্গুর আউটব্রেক হয় এবং পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমার চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। আমার এই হাজার চেষ্টার পরেও আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল সারাদেশে। সে সময় ডেঙ্গুতে সারাদেশে ১৫৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত ছিলাম, আমি অনেক চেষ্টা করেও কিন্তু এই মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে পারিনি। কিন্তু আমি খুব দুঃখ, কষ্ট পেলাম, বর্তমান যে কর্তৃপক্ষ, তিনি বললেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার কম ছিল। এই কথায় আমি কষ্ট পেয়েছি, নগরবাসী হতভম্ব হয়েছে।
সাবেক মেয়র বলেন, আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, ২২ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে ২০২৩ সালে ডেঙ্গুর আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষের অধিক ছিল। এবং সারাদেশে মৃতের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭০৫ জন। এটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রে একটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদে প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদে বলা হয়, ২০১৯ এর চেয়ে ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল। সেখানে সিটি করপোরেশনের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেছেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। যা স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে অসত্য। এতে আমি অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছি, দুঃখ পেয়েছি।
মেয়র তাপসের উদ্দেশে একই দলের এই নেতা বলেন, নিজের ব্যর্থতাকে আরেকজনের ঘাড়ে না চাপিয়ে এই ধরনের আচরণ না করি। সামনে যে একটি ভয়ংকর পরিস্থিতি হতে চলেছে, সেই পরিস্থিতিকে মোকাবিলার জন্য, আমরা সর্বস্তরের নাগরিক, কর্তৃপক্ষ এবং আমাদের যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, আমরা সবাই মিলে আগামী দিনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করি।