রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:০৮ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কমলাপুর রেলস্টেশন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে আয়োজিত এই সমাবেশে নেতারা বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এরপর গণপরিবহন রেলের টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও অতিষ্ঠ করে তুলবে।
এ সময় নেতারা ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, রেলের অপচয়, দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা দূর, এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি এবং রেলের বিভিন্ন প্রজেক্টের স্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম। বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার, ও কাজী রুহুল আমিন।
সমাবেশে মো. শাহ আলম বলেন, বড় বড় প্রজেক্টের নামে রেলকে আধুনিকায়ন করার কথা বলা হচ্ছে অথচ এই টাকার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম্যে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। সরকার এদেরই পোষণ করে চলছে। সরকার শুধু সিন্ডিকেটের পাহারাদেরই নয়, সিন্ডিকেটেরই অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে।
রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও গণবিরোধী আখ্যায়িত করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকার ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে সারা দেশে এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দুর্নীতি অপচয় ও ব্যবস্থাপনা দূর করতে পারলে রেলকে আরও লাভজনক খাতে পরিণত করা যেত। এটি না করে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রজেক্ট এর নামে দুর্নীতিবাজদেরই দায় মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রোজেক্টের ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই।
তিনি বলেন, রেলপথে খরচ বৃদ্ধি ও সংকুচিত করে রোড সিন্ডিকেট এবং বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। রেলের ভাড়া বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
রেলে পদ খালি থাকলেও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। বেসরকারি খাতে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের শতাধিক কোটি টাকা মুনাফা ও লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যোগ করেন তিনি।