তাঁদের পরিবার নিয়েই থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৭ পিএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:২৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তার না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের স্বজনদের প্রার্থী করার বিষয়টি যে পছন্দ নয়, সেটিও জানিয়ে দেন তিনি। যাঁরা এমন প্রার্থী করেছেন, তাঁদেরকে ভবিষ্যতে পরিবার নিয়েই থাকতে বলেও সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের উপজেলা নির্বাচন ঘিরে নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের সরকারি দলের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সংসদ সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে সূচনা বক্তব্য দেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। পরে তিনি সংসদ সদস্যদের কথা শোনেন এবং কিছু কিছু বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন। সন্ধ্যা সাতটার পর শুরু হওয়া বৈঠক চলে এক ঘণ্টার বেশি সময়।
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে যেসব মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন, তাঁদের সতর্ক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা নিকট আত্মীয়দের প্রার্থী করছেন, ভবিষ্যতে তাঁদের পরিবার নিয়েই থাকতে হবে। জনগণ ও নেতা–কর্মীদের ভোট তাঁরা পাবেন না। সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা বলেন, নিজের পরিবারকে বড় না করে আওয়ামী লীগকে বড় করতে হবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র ভোট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই ভোট ১৯৭৫ সালের পর সবচেয়ে সুষ্ঠু হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনও একই রকম হবে।
একাধিক সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের স্বজনদের ভোটে থাকা খারাপ হিসেবে দেখছেন, এটাই প্রকাশ পেয়েছে। নিজে সংসদ সদস্য হয়ে পরিবারের সদস্যদের কেন প্রার্থী করতে হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। তিনি বলেছেন, এটা করা ঠিক হয়নি। এমনটা হলে অন্য নেতা–কর্মীরা কী করবেন? অন্য নেতা–কর্মীদের জায়গা প্রয়োজন, সম্মানের প্রয়োজন। এ সময় দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিষয়ে যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, তাঁর ছেলে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা দেওয়ার পর ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালো করেছে। সভায় বেশ কয়েকজন তরুণ সংসদ সদস্যও বক্তৃতা দেন।
তবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার অনুমতি নিয়ে অনেকে স্বতন্ত্র ভোট করেছেন। তাঁদের সঙ্গে দলীয় সংসদ সদস্যদের ঝামেলা করা যাবে না। কোথাও কোথাও স্বতন্ত্ররাও ঝামেলা করছেন, তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।’ নারী সংসদ সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি।