বিএনপির ভাঙন আমরা চাই না: ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫১ এএম, ২ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:২৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে আমরা ধ্বংস করতে চাই না, তাদের ভাঙনও চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী। তাদের ঘরে এত শত্রু যে ধ্বংসের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না।
বুধবার (১ মে) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রমিক লীগ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সম্পর্কে ভেতরের অনেক কথা শোনা যায়। নেতাদের কার সঙ্গে কার মিল নেই। যাকে পছন্দ হয় না; তাকে সরকারের এজেন্ট বলে। নেতায় নেতায় ঝগড়া করে একে অন্যকে দোষ দেয়।
‘বিএনপি নেতাদের লজ্জা শরমও নেই’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন- এক সময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদের ও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। পেছনের দরজা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছে কয়দিন আগে, সে সময় সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করল- আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এত প্রতিবাদ? তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ। প্রফেসরকে লাঠিপেটা, কি নির্যাতন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, কি যে বর্বরতা। তখন ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মানবাধিকারের কথা বলে।
তিনি বলেন, আদমজীর মতো জোট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে— এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজকে কতবার বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করেছে। শ্রমিকের ওপর কোনো নির্যাতন নেই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ৬ দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিণত করেছে।
শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলবো- আপনারা ঐক্য বদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছে ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।