শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৭ এএম, ৩০ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:১৮ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীর পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র, মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়।
তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান মন্ত্রী। শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্ম আগামীতে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক মো. জাফর ওয়াজেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বেশিরভাগই পাকিস্তান আর্মি ফেরত। যদিও এদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, তথাপি তারা পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে কি না তা খতিয়ে দেখার বিষয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর দেশরক্ষার জন্য গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ছিল আরও একটি যুদ্ধ। এ যুদ্ধে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সমুন্নত হয়েছে, এ যুদ্ধে যুবলীগ সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের তুলনায় অনেক ছোট ছিল। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ। অথচ এই জাতিকে তারা শোষণ ও নির্যাতন করে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল। এজন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পিছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান শেখ ফজলে শামস পরশ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।