উপজেলায়ও আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ১৬ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:৪৬ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও লড়াই হতে যাচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতাদের নিজেদের মধ্যে। প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলটির গড়ে তিনজন করে প্রার্থী হচ্ছেন।
গতকাল সোমবার ছিল প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। ১৫০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। ১৪১টি উপজেলায় দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নেতা আছেন কমবেশি ৪৫ জন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাসের মাথায় সারা দেশে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনো আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও নেই। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন।
ক্ষমতাসীনেরা এই ‘স্বতন্ত্র কৌশল’ নেওয়ার সময় আশা করেছিল, আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে না থাকলে বিএনপির নেতাদের অনেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। কিন্তু প্রথম ধাপে সেটা খুব একটা হয়নি। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়ে গেলেও গতকাল পর্যন্ত বিএনপি এই নির্বাচনের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। গত রাতে এ বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির বৈঠক করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুরুতে এই নির্বাচনে কিছু জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাঁদের তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপিও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ফলে এবারের উপজেলা নির্বাচন শেষ পর্যন্ত কতটা অংশগ্রহণমূলক হবে, সেটা নিয়ে সংশয় আছে।
এবার প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।