উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যা জানাল বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:১২ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটির পক্ষ থেকে রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান। এর আগে গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তাঁর সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে।
এখনো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরো অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।’
নির্বাচন বর্জনের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কশাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তাতে বলা হয়, ‘অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন করার পরও তারা আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেওয়া, ইন্টারনেটের গতি স্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিনাশি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগেও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে বাধা দেওয়া হয়।
কিছু এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও পরে তাদের বের করে দেওয়া হয়। তারা একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। গত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারাবন্দি করা হয়। এদের অনেকেই এখনো কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’