ফখরুলকে কাদেরের চ্যালেঞ্জ, চাইলেন ৬০ লাখ বন্দীর তালিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২২ পিএম, ১৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:২২ এএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মী কারাবন্দি’ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপি মহাসচিবকে চ্যালেঞ্জ করে এসব কারাবন্দির তালিকা চেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের এই মুখপাত্র।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এই তালিকা চান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমি মির্জা ফখরুল ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করছি। ছিল ২০ হাজার, হয়ে গেল ৬০ লাখ! অবিলম্বে ৬০ লাখ বন্দীর তালিকা প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফ
‘খরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।'
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, '১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে।'
কাদের বলেন, '১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপির কাছ থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।'
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। একাত্তরে তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে এমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোনো দাম নেই?'
কাদের বলেন, 'তারা এদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। ৭১ সালে তাদের যে ভূমিকা সবাই জানে।'
দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বলেছি, তাদের (বিরোধী দল) আন্তর্জাতিক মিত্ররা, তাদের সঙ্গে সলা-পরামর্শ করে- এই সরকার ক্ষমতায় বসলেও দুর্ভিক্ষে এ সরকারের পতন হবে।'
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই।'
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজানে সরকারের বেশ কিছু কার্যক্রম চলমান ছিল। তা অব্যাহত থাকবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, 'যতদিন জনগণের প্রয়োজন থাকবে। ততদিন জনস্বার্থে এই প্রোগ্রাম থাকবে।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।