আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:২৫ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি যাবে না বলে আবারো দলের অবস্থান জানান দিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার বিকালে গোপীবাগে ‘নিরব পদযাত্রা’ পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব দলের অবস্থান পরিস্কার করলেন।
তিনি বলেন, ‘‘ঢাকার লোক আপনারা, আপনারা ভালো জানেন, ঘোড়াও যে হাসে জানেন তো। কখন হাসে জানেন? যখন ওই ধরনের কথা শুনতে পায়, যে বিদেশী আসছে সেখানে বলতেছেন প্রধানমন্ত্রী যে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকারের অধীনে খুব ভালো নির্বাচন হবে, সবাই অবাধে ভোট দিতে পারবে।”
‘‘ঘোড়াও হাসতে শুরু করেছে এই কথা শুনে। আমরা স্পষ্টভাষায় আজকে বলতে চাই, সেই নির্বাচনে বিএনপি, বাংলাদেশের মানুষ যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিনই সেই নির্বাচন মেনে নেবে না ডে যে নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে যাবে না, যে নির্বাচনে সে তার ভোট প্রদান করতে পারবে না। আমাদের প্রধান(প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান) সাহেবের কথায় বলতে হয় কুত্তা মার্কা নির্বাচনে বিএনপি আর যাবে না, দেশে মানুষ যাবে না।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমাদের সোজা কথা। অনেক ক্ষতি করেছেন আমাদের। এদেশের যে স্বপ্ন ছিলো, যে আকাংখা ছিলো সব কিছুকে ভেঙে ধূলিসাত করে দিয়েছে। মাত্র তারা তাদের পরিবার, তারা তাদের লোকজনকে ফুঁলে-ফেঁপে কলাগাছ করে তাদেরকে বিদেশে টাকা পাচার করে দিয়ে তারা আজকে এই বাংলাদেশকে শেষ করে ফেলেছে।”
‘‘আমরা আমাদের হিসসা চাই। খুব বলেন, উন্নয়ন উন্নয়ন। উন্নয়ন কোথায়? উন্নয়ন আপনাদের সঙ্গে। সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়ন নাই। সাধারণ মানুষের দিকে তাঁকিয়ে দেখুন কি অবস্থা সাধারণ মানুষের ?”
তিনি বলেন, ‘‘আজকে আমাদের একটাই কথা। দুই কথা, তিন কথা, চার কথা বলে সময় নষ্ট করার দরকার নাই। এই মুহুর্তে চাই পদত্যাগ, এই মুহুর্তে চাই পদত্যাগ।”
‘‘পদত্যাগ করুন, দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। অন্যথায় দেশের মানুষই তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
‘দেয়ালের লিখন পড়ুন’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে ওরা বলতো বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না। এখন আন্দোলনকে নাকী ভয় পায় যে, তারা আন্দোলনকে পাহারা দেয়। পাহারা দিয়ে আন্দোলন ঠেকানো যায়? ঠেকানো যাবে না। তখন পালাবার পথ খুঁজে পাবে না ওরা।”
‘‘এখনো বলছি সময় আছে, দেয়ালের লিখন পড়ুন, মানুষের ভাষা বুঝুন, গ্রামের যান দেখুন। ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির নেতৃত্বে কিভাবে হাজার হাজার মানুষ পদযাত্রা করেছে। আজকে সত্যিকার অর্থেই এই সরকারের পদত্যাগের দাবি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখনো সময় আছে পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করুন এবং নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যায় তখন জনগণ আপনাদেরকে সেই সুযোগ দেবে না।”
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখে বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন দলটির মহাসচিব।
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা এবং বিদ্যুৎ-গ্যাস-দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার মহানগর বিএনপি রাজধানীতে দুইটি পদযাত্রা হয়।
মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে গোপীবাগ ওয়াক্তিয়া মসজিদের সামনের সমাবেশ করে বিকাল ৪টায় পদযাত্রা শুরু করে। বিশাল পদযাত্রাটি মধুমিতা সিনেমা হল, টিকাটুলী, দয়াগঞ্জ, ধোলাইখাল মোড়, রায়সা বাজার মোড় হয়ে নয়াবাজারে নবাব ইউসুফ মার্কেট পর্যন্ত ৫ কিলো মিটার পথ পেরিয়ে শেষ করে।
মহানগর উত্তরের উদ্যোগে উত্তরার কবি জসিম উদ্দিন সড়ক থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত আড়াই কিলো মিটার পদযাত্রা হয়। এই পদযাত্রায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন নেতৃত্ব দেন।
যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে একই সময়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি(এলডিপি) কাওরান বাজার থেকে এবং গণফোরাম-পিপলস পার্টি মতিঝিলের ইডেন কমপ্লেক্সের সামনে থেকে পদযাত্রা করে।
এছাড়া সকালে সমমনা জাতীয়তাবাদী জোট বিজয় নগরে আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে এবং পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট পুরানা পল্টন থেকে থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত পদযাত্রা করে।
‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘এই যে রাষ্ট্রপতি বলে একজন নির্বাচন করছে। আমরা কিছু জানি? কেউ কিছু জানে? উনি (নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি) নিজেও জানতেন না। টেলিভিশনে সাক্ষাতকার দিয়ে উনি বলেছেন, আমি নিজেও জানতাম না।”
‘‘এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনই প্রমাণ করে যে, সংবিধান যেটা আছে এই সংবিধান দিয়ে এদেশের সমস্যার এখন সমাধান হবে না। এজন্য এই সংবিধান সংশোধন করতে হবে। অবশ্যই আমরা যে ২৭ দফা দিয়েছে সেই ২৭ দফার মধ্যে আমরা এই সংবিধান সংশোধনের কথা বলেছি। আমরা বলেছি, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, মন্ত্রীদের ক্ষমতা-এইগুলো সমস্ত ভারসাম্য আনতে হবে এবং সকল মানুষের অংশ থাকে সেই ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাকে কিভাবে স্থায়ী করা যায় তার চিন্তা করতে হবে।”
‘ওরা পুলিশকে ব্যবহার করছে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ওরা পুলিশকে ব্যবহার করছে। গতকাল আইন ও সালিশ কেন্দ্র একটা পরিসংখ্যান বলেছে, গত ১৩ মাসে ৭২ জনকে বিনা বিচারে এক্সট্টা জুড়িশিয়াল কিলিং করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। তারা বলেছে যে, অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বাধা দেয়া হচ্ছে। গত বছর আগস্ট মাস থেকে আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি তাতে প্রায় ১০ নেতাকে রাজপথে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।”
‘‘আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই ঢাকা শহরে এমন একটা বিএনপির নেতা-কর্মীর বাড়ি নাই যেখানে পুলিশ হানা দেয় না, তল্লাশি বা রেইট করে না এবং ধরে নিয়ে চলে যায় না। আমরা সবাই জেলে গেছি। জেলে যাচ্ছি, আসছি। এখন আমাদের অনেক নেতা-কর্মী জেলে আছে। সেই জেলে নিয়ে কিন্তু বিএনপিকে আটকিয়ে রাখতে পারছে না।”
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই আন্দোলন করছে না। বিএনপি লড়াই করছে জনগণের মুক্তির জন্য, এই দেশকে বাঁচানোর জন্য, এই দেশকে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য।”
‘‘আজকে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতায় এদেশটা একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কোথাও কোনো সফলতা নেই। আজকে দেখুন গণতান্ত্রিক সম্মেলন হচ্ছে আমেরিকাতে। সেখানে বাংলাদেশকে দাওয়াত করে নাই, গতবারও করে নাই। এটা আমাদের জন্য আনন্দের কথা নয়। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম একাত্তর সালে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য, আমরা লড়াই করেছি ৯০ সালে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। সেই বাংলাদেশে যদি দেখা যায় আজকে গণতন্ত্র নির্বাসিত।”
‘দেশে নৈরাজ্য চলছে’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্বের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে নিশ্চয় দেখেছেন, বরিশালে একজনের দোকান দখল করে নিয়েছে। প্রায় ৭০টা দোকান এবং এখন লিখে দিতে হচ্ছে যে, দোকানের ভাড়া ওই আওয়ামী লীগারকে দিতে হবে, দোকানের মালিক দিতে পারবে না। এই একটা নৈরাজ্য চলছে। যে ভাবে খুশি দেশটাকে তারা চালানোর চেষ্টা করছে।”
‘‘আওয়ামী লীগ মূলত একটা সন্ত্রাসী দল, আওয়ামী লীগ কোনোদিন জনগণের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে আসে নাই, আওয়ামী লীগ সব সময়ই জনগণকে ভয় দেখিয়ে, ত্রাস সৃষ্টি করে একটা ত্রাসের রাজত্ব করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আজকে আবারো সেইভাবে ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। একবার গেছে ২০১৪ সালে, আরেকবার গেছে ২০১৮ সালে এখন ২০২৩ সালে আবার নির্বাচনে তো আবার বলছে।”
‘দেশে গণলুট চলছে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আজকে এমন চুরি করেছেন যে, এখন ব্যাংকে টাকা নাই। ডলার নাই। এলসি খুলতে পারে না, জিনিস পত্র আনতে পারে না। চুরির একটা সীমা আছে এরা সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।”
‘‘আজকের পত্রিকায় বেরিয়েছে ফরিদপুরের ওদের পাচারের ঘটনা। সেখানে দেখা যাচ্ছে একজন না আরো অনেকে আছে জড়িত, তাদের আত্বীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাই। এ গণলুট তো গণলুট। এখানে মনে হচ্ছে যে, খুলে দিয়েছে সব নিয়ে ওরা চলে যাবে। বর্গীরা আগে যেভাবে আসতো আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই বর্গীর দল যখনই তারা বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে সব লুট করে নিয়ে চলে যায়। এটা আর আমরা হতে দিতে পারি।”
এই অবস্থার সমাপ্তি ঘটাতে জনগনের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে হুশিয়ারি দেন মির্জা ফখরুল।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘আজকে বিদ্যুতের কি অবস্থা। বক্তারা বলে গেছেন। ঘরে মা-বোনেরা ভালো জানেন। আমি প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে কোনো কথা বলতে চাই না। কিন্তু প্রতিবেশী দেশে কিছু লুটেরার সঙ্গে আতাঁত করে একটা সরকার কিভাবে একটা দেশকে লুট করতে পারে তার একটা প্রমাণ ওই আদানি নাকী প্যাদানি একটা আছে।”
‘‘শুনছেন না ক্যাসিটি চার্জ দিতে হবে তাকে। এক লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা ২৫ বছরে।বিদ্যুত দিক বা না দিক। আরে ভাই শ্বশুড় বাড়ি আরকি। যেমনি খুশি তেমনি নিইয়া যাইবো। কার সঙ্গে এই চুক্তি করেছে? ভারতীয় সরকারের সঙ্গে নয়, একজন সাধারণ বাটপারের সঙ্গে এই কাজটা করলো।”
তিনি বলেন, ‘‘আরেকটা কাজ করেছে তার(আদানি গ্রুপ) ইন্দোনেশিয়ায় কয়লার খনি আছে। সেই কয়লার খনিতে কয়লার দাম হলো বাংলাদেশ টাকা ২‘শ টাকা। বাংলাদেশের এই বিদ্যুতের জন্য কিনতে হবে ৪শ টাকা দিয়ে। বাকী টাকা কোথায় গেলো? কে কে ভাগ করছে, এই ভাগ কে কে পাচ্ছে আমরা জানতে চাই না।”
‘‘শুধু বলতে চাই, ভর্তুকির টাকার দেবেন না বলেছেন না। ওই টাকা থেকে ভর্তুকির টাকা দিন। চুরি করে দেশ সয়লাব করে দেবেন, দেশটা শেষ করে দেবেন আর আমাদেরকে বলবেন, ভর্তুকি দিতে হবে। কার টাকা কে ভর্তুকি দেয়। আমরা বলতে চাই, এই সরকার থাকা অবস্থায় মানুষের মুখে হাসি ফুটবে না, এদেশে মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে হলে চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, চাই আমার নেতা তারেক রহমানকে, চাই বিএনপিকে।”
মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সভাপতি আবদুস সালাম ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় গোপীবাগে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিএনপির মহানগরের সদস্য ইশরাক হোসেন বক্তব্য রাখেন।
এই পদযাত্রায় বিএনপির খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, মীর নেওয়াজ আলী, সেলিম রেজা হাবিব, কাজী হাবিবুল বাশার, ইউনুস মৃধা, আবদুস সাত্তার, মো. মোহন, হাবিবুর রশীদ হাবিব, তানভীর আহমেদ রবিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, যুব দলের মুনায়েম মুন্না, ইসহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা ছিলেন।
বেলা আড়াইটায় উত্তরায় কবি জসিম উদ্দিন সড়কের মোড় থেকে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বক্তব্য রাখেন।
দুইটি ‘নিরব’ পদযাত্রায় বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, কৃষক দল, তাঁতী দল, মতস্যজীবী দল, ছাত্রদল, জাসাসের হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেয়।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফার সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুত-গ্যাসের দাম কমানোর দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো গত ডিসেম্বর থেকে যুগপৎভাবে অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন শুরু করে। গত দেড় মাসে তারা দেশব্যাপী গণমিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিভাগীয় সমাবেশ, ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার কর্মসূচি করেছে।