দেশে গণতন্ত্র থাকলে সম্মেলনে দাওয়াত পেত বাংলাদেশ : বুলু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দেশে গণতন্ত্র থাকলে বাংলাদেশ ‘গণতন্ত্র সম্মেলনে’ দাওয়াত পেত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলার আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ ও হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত গণতন্ত্র সম্মেলনে পাকিস্তান দাওয়াত পেলেও বাংলাদেশ এবারও দাওয়াত পায়নি। এতেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। দেশে গণতন্ত্র থাকলে গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পেত।’
বুলু বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর গণতন্ত্র সম্মেলন হয়েছিল, সেখানেও বাংলাদেশকে ডাকেনি। এ বছরও গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি। পাকিস্তানও সেই সম্মেলনে দাওয়াত পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ পায়নি। এতেই বুঝা যায়, বাংলাদেশের গণতন্ত্র কোথায়। গণতন্ত্র হরণ করে দেশ চালাচ্ছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘দুদকের সাবেক কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার সরকারের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ পেতে পারেন কিনা? দুদকের ৯ নম্বর আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, তারা সরকারের কেনো লাভজনক পদে যেতে পারবেন না।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এত বর্ষিয়ান নেতা থাকতে কী কারণে সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করা হলো? তার একটাই সফলতা খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া, যে মামলার কোনো ক্লু নেই, কোনো প্রমাণ নেই। সাহাবুদ্দিন বিএনপি চেয়ারপারসনের নামে সেই মামলা দিয়ে পরিচালনা করে সাজার ব্যবস্থা করেছেন। সেই কারণে তাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে।’
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলে তারা নাকি রাজপথ থেকে উঠে এসেছে—তাদের এত নেতা থাকতে সাহাবুদ্দিনকে কেন রাষ্ট্রপতি করা হলো? তাকে রাষ্ট্রপতি করে হাজার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই সাহাবুদ্দিন ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়ার ৩০ দিনে ৩০ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। সেই ব্যক্তি আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন। যদি পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি হতেন, তাহলে আগামী দিনে তাদের সঙ্গে আলোচনার একটা সুযোগ থাকত। সে আলোচনার দরজাটাও শেখ হাসিনা বন্ধ করে দিলেন।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই সরকারের পতনের জন্য দেশপ্রেমিক সব সংগঠন রাস্তায় নেমেছে। আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ সরকারের পতন হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এবং কৃষক দল নেতা জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, কৃষক দলের সহসভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান (ভিপি ইব্রাহিম), ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারি প্রমুখ বক্তব্য দেন।