রাজনীতিকে সংঘাতপূর্ণ ও রক্তপাতমুখী করার অপচেষ্টা থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান : রব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৪৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচির দিন তথাকথিত ’শান্তি সমাবেশের’ আবরণে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে রাজনীতিকে সংঘাতপূর্ণ ও রক্তপাতমুখী করার অপচেষ্টা থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
আজ রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশের জনগণ যখন জীবনপণ মুক্তির লড়াইয়ে নিয়োজিত তখন গণহত্যায় উন্মত্ত পাকিস্তানি দখলদার শাসকরা সারাদেশে ‘শান্তি কমিটি’ গঠন করে স্বাধীনতাকামী জনগণের ‘গণইচ্ছার’ বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। এরাই পরবর্তী সময়ে হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণে জড়িত হয়ে পড়ে এবং রাজাকার-আলবদর হিসেবে চিহ্নিত হয়, যা আজও সমাজে ক্ষত হিসেবে বিদ্যমান।’
তারা আরো বলেন, “জনগণের আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য বল প্রয়োগ, হত্যা, সংঘর্ষ ও গ্রেফতারের মাঝে শাসক দলের ‘শান্তি সমাবেশ’ সম্পর্কে এদেশের জনগণ পরিচিত। নিপীড়ন-নির্যাতনের ভয়ঙ্কর বাস্তবতায় সরকারের বয়ানে ‘শান্তি সমাবেশের’ কথা শুনলেই ’৭১ সালের দুঃশাসনের চিত্র ভেসে ওঠে এবং জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সারা দেশে এই কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। একই দিন ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশের নামে আওয়ামী লীগ উস্কানিমূলক পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে রাজনৈতিক সংঘাত সূত্রপাতের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে।
বিএনপি’র দাবি মতে, কমপক্ষে ৫০টির বেশি স্থানে আওয়ামী লীগ তাদের কর্মসূচিতে হামলা করে প্রায় ৩০০ নেতাকর্মীকে আহত করেছে এবং ২০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এগুলো ’শান্তি সমাবেশ’র নামে বিদ্যমান পরিস্থিতিকে ভয়ঙ্কর রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেয়ার পাঁয়তারা।
সুতরাং গণআকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান করে, ক্ষমতা রক্ষার অগণতান্ত্রিক পথে আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী দল ’৭১-এর পরাজিত পাকিস্তানি দখলদারদের ‘শান্তি কমিটি’র কলঙ্কে চিহ্নিত হবে- এটা কেউ প্রত্যাশা করে না। শান্তি সমাবেশের নামে বল প্রয়োগের হাতিয়ার ব্যবহার করার অপরাজনীতি থেকে সরকারকে অবশ্যই সরে আসতে হবে।”