আওয়ামী লীগের বিদায়ের অগ্রযাত্রা হচ্ছে বিএনপির পদযাত্রা : জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:০৭ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপির অহিংস যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের আস্থা বেড়েছে দেখে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিদায়ের অগ্রযাত্রা হচ্ছে বিএনপির চলমান পদযাত্রা। ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে দ্রুত সরকারকে বিদায় করতে সক্ষম হবো উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেছেন, যুগপৎ আন্দোলনে মানুষের মধ্যে একটা আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বিগত দিনে বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। ইউনিয়র পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতেও কোনো বিশৃঙ্খলা হবেনা। বিএনপি শান্তিপুর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ এ সরকারকে আর দেখতে চায় না। গণতন্ত্র বার বার হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র ঘোষিত সারাদেশে ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসুচি সফল করতে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে লুটেরা সরকার মেগা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কাটছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ চরম দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। বিচার বিভাগে বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বন্দি রাখা মানে গণতন্ত্রকে বন্দি রাখা। খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র আজ যেন সমার্থক। জনগণ আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে অবতীর্ণ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র বিরোধী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি সন্নিবেশিত করে ১০ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ দাবি জনগণের ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছে। সরকার এই দাবিকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্র করছে। হত্যা, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও ব্যাপক দমন-নিপীড়ন চালিয়ে, মানবাধিকার হরণ করেও ফ্যাসিস্ট সরকার আন্দোলন দমন করতে পারছে না। সব বাধা অতিক্রম করে আন্দোলন এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে।
প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য স্বৈরাচার সরকার বিএনপির প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে। মামলার আসামি করে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য জনগণ রাস্তায় নেমেছে। মামলা দিয়ে হামলা করে বিএনপির চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। শহীদ জিয়া সৈনিকেরা কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় পায় না- হুমকি ধামকি দিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার দিন আর বেশি দুরে নয়।
খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তৃতা কারেন, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. গাজী আব্দুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, খান জুলফিকার আলী জুলু, বদরুল আনাম খান, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ তৈয়েবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, এনামুল হক সজল প্রমুখ।