আওয়ামী লীগ নেতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ইডেনছাত্রী!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৪ এএম, ৯ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:১৩ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জে মোনায়েম হোসেন জেমস নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ইডেন কলেজের এক ছাত্রী। ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় ওই ছাত্রী মামলা দায়ের করেছেন ওই নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মোনায়েম হোসেন জেমস জেলার তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সগুনা ইউনিয়নের হেমনগর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী ৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। ওই ছাত্রী ইডেন কলেজে পড়াশোনা করার সময় ও ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোনায়েম হোসেন জেমসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে জেমস বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে তার লালবাগের রসুলবাগের ১৯৫/১ (৫ তলা) ভাড়া বাসায় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিক বার ধর্ষণ করে।
গত ৩০শে জানুয়ারি ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে জানতে পারেন- তিনি ৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জেমসকে জানালে বাচ্চাটি নষ্ট করার কথা বলেন। পরে গর্ভবতী হওয়ার কথা জেমসের বাবা ও ভাইকে জানালে তারা বিষয়টি মেনে না নিয়ে বাচ্চাটি নষ্ট করার কথা বলেন। পরে ৪ঠা জানুয়ারি জেমসের সঙ্গে বিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে কৌশলে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি নিজ এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে জেমসের বিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওই ছাত্রী বাদী গয়ে গত ৫ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার লালবাগ থানায় জেমস সহ ৩ জনকে আসামি করে নারী ও নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা জেমসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ।
জেমস এর বাবা আব্দুল ওহাব বলেন, ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা ঘটনা সাজানো হচ্ছে। জেমস বর্তমানে ভারতে রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস খোন্দকার বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লালবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এম মোকছেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত চলছে। ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।