বিএনপির ১০ দফা এবং ২৭ দফার ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে : আমীর খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:০৪ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার পতন আন্দোলনের ১০ দফা এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফার ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, ২৭ দফা বিএনপির ভিশন। একজন ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সংষ্কারক তারেক রহমান ঘোষিত এই দফা সমূহে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিভিন্ন দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা নিরসনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি পেশাজীবীদের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের এই রুপরেখা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, সংসদে উচ্চ কক্ষ প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের গুনীজন, বুদ্ধিজীবী এবং পেশাজীবীদের দেশ পরিচালনায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, পর পর ২ বারের বেশি সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন না করার প্রস্তাব যুগান্তকারী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্য কোনো রাজনীতিবিদ এই ধরনের ঘোষণা দেওয়ার সৎ সাহস দেখান নাই।
আজ বুধবার বিকেলে জামালখান রোডস্থ প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক জাহেদুল করিম কচির সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিলের পরিচালনায় ও অ্যাডভোকেট কায়সার হামিদের কোরআন তেলোওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ডা : এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কেবলমাত্র স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম নেতৃত্বদানকারী হিসেবেই নয়, দেশের তৈরি পোষাক শিল্পের প্রসার এবং বিদেশে শ্রমবাজার সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য সবসময় স্মরনীয় হয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, রাষ্টকাঠামো মেরামত ইস্যুতে ইতিমধ্যে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি হওয়াতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জোট বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, পাকিস্তান আমালের ২২ পরিবারের পরিবর্তে বর্তমানে বাংলাদেশে কত পরিবার আছে অর্থনৈতিক কমিশন গঠনের মাধ্যমে তা নির্ধারন করা উচিত।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বিএনপি কখনো গণতন্ত্রকে হত্যা করেনি, বরং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে। মৃতপ্রায় আওয়ামী লীগকে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু এখন বিরোধী দলমতের মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন না। এই সরকার শুধু গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেনি, মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়, প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়; ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, একজনের ভোট আরেকজন দিয়েছেন। গণতন্ত্রের বাহন নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র আছে বলা যায় না।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনঃগঠন করতে হবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হঠানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহের সমন্বয়ে একটি জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
অন্যান্যরে মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট এনামুল হক, অধ্যাপক নসরুল কদির, অধ্যাপক ডা. মোঃ জসিম উদ্দীন, ডা. তমিজ উদ্দীন মানিক, সাংবাদিক মোঃ শাহনেওয়াজ, কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. আহসানুল হক, শিল্পদ্যোক্তা জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, ডা. মো আব্বাস উদ্দীন,ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, শিক্ষক নেতা এম এ সাফা চৌধুরী ও প্রকৌশলী মোঃ ওসমান। সভায় বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।