জনগণের ভোট ডাকাতি করে আবার ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ : নজরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:৪২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জনগণের ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসার জন্য আওয়ামী লীগ পরিকল্পনা নিয়েছে আবার। এদেশের সাধারণ মানুষ চলতে পারছে না। কারণ প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এই সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। এক সপ্তাহের মধ্যে দু'বার জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করেছে। সরকার জনগণের সমর্থনের শ্রদ্ধা করতো, তাহলে জিনিসপত্রের দাম এভাবে বাড়াত না। দেশের মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। সরকার কয়েকদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এখন আবারো গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়ালেও এর জোগান গরিব মানুষকেই দিতে হবে। সেসব বিবেচনা না করে সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
দেশের স্থায়ী ও টেকসই উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারকে হটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ফাঁপা বেলুনের মতো উল্লেখ করে তিনি এর প্রয়োজন নেই বলেও দাবি করেন। জনগণের প্রতি সরকারের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, আজকে খাদ্য নিয়ে জাহাজ ঘুরছে, তাদের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্পখাতকে আরও বিপদে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশ আরও কঠিন সংকটে পড়ার আগেই আমাদেরকে লড়াই করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজকে দেশ চরম দুঃসময় পার করছে। একটি অনির্বাচিত সরকার; যাদের দেশের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। একদিকে কিছু লোক অর্থ লুট করে কোটিপতি বনে গেছে। অন্যদিকে কয়েক কোটি লোক দরিদ্র হয়েছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে দেন। কারা ব্যাংক লুট করেছে বিএনপি ঠিকই বের করবে। তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। যারা এর পেছনে জড়িত তাদেরকে সামনে আনা হবে। আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। অনেক মা-বোনের ইজ্জত ও রক্তের বিনিময়ে। আজকে দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, মিথ্যা মামলার রায়ে আজকে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে আসতে পারছেন না। আসলে যারা দরিদ্র মানুষকে ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন তাদেরকে কারাগারে আটক রেখে লুটেরাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকরা বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। একটি জেলার ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। আমরা একটি বাসযোগ্য দেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছি।
আজ শনিবার বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের পরিচালনায় সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের দুর্নীতি আর দুঃশাসনের কারণে নতুন করে সরকার সমর্থক কয়েক হাজার কোটিপতি হয়েছেন। কিন্তু প্রায় ৪ কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। আজ যারা ক্ষমতায়, এরাই ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্রকে জবাই করে এক দলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই বাকশালের গোরস্থান উপর বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৮২ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে স্বৈরাচারী এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছিলেন। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন। নয় বছর লড়াই করে খালেদা জিয়া বাংলাদেশে পুনরায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বিনা ভোটে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে না থেকে পদত্যাগ করুন, এই সংসদ বাতিল করে দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। তারা হবে জনগণের সরকার।
দুপুর ১ টায় সমাবেশে শুরু হয়। বিভিন্ন জেলা নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থানা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগদেয়। তাদের মুখে ছিল বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান স্লোগান।ছিল ভোট চোর ভোট চোর শেখ হাসিনা ভোট চোর,এ মুহুত্বে দরকার খালেদা জিয়ার সরকার। সমাবেশের মঞ্চ করা হয় নাসিমন ভবন নুর আহম্মদ সড়কে। সমাবেশের জন্য এক পাশে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় দুপুর ১ টায়। কিন্তু তিনটার মধ্যে রাস্তার দুই পাশ নেতা কর্মীদের ভিড়ে বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ কজিরদেউরি মোড়, আলমাসের সামনে, লাভলেইন মোড়, সিআরবি পর্যন্ত লোকে ভরে য়ায়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, উপজাতি সম্পাদক মা ম্যা চিং, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশীদ ভিপি, সহ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উদয় কুসুম বড়ুয়া, কাজী মুফিজুর রহমান, মশিউর রহমান বিপ্লব, সাচিং প্রু জেরী, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বি এস সি, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বান্দরবন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামীম আরা স্বপ্না, এনামুল হক এনাম।
প্রধান বক্তা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দুই বেলা ঠিকমতো খাওয়ার পরিস্থিতি নেই। একই সঙ্গে সরকারি বাহিনীর মাধ্যমে লুটপাট ও সন্ত্রাস চলছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার।
আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের পতন নিশ্চিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেন, জনগণ যে নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাকে বলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু যে নির্বাচনে আগের রাতেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হবে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। এমনকি কাউকে অংশগ্রহণও করতে দেয়া হবে না। অর্থাৎ, ভোটারবিহীন নির্বাচন আর করতে দেয়া হবে না।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আগামীতে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। তবে এই সরকারের অধীনে নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আমরা অংশ নেব। কারণ, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, তা প্রমাণিত।
নোমান বলেন, বর্তমান সরকার আজকে যেমন পুলিশ বাহিনী ব্যবহার করছে, তেমনি অতীতে এরশাদ ও আইয়ুব খানও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করেছে। কিন্তু তারা টিকতে পারেনি। এরাও টিকতে পারবে না। আমরা অগ্রযাত্রায় আছি আর সরকার যেখানে গিয়েছে, সেখান থেকে ফিরতে পারবে না। যারা আমাদের কারাগারে দিচ্ছে, তারা আগামীতে কারাগারে যাবে, এটা হলো ইতিহাসের নিয়ম। এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো আস্থা নেই। তাই তারা নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা, মামলার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেছেন, মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে লুটপাট আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। তারা এখন জনগণের সঙ্গে রসিকতা করছে।পৃথিবীর কোথাও জ্বালানির এক লাফে এত মূল্যবৃদ্ধির নজির নেই। কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সরকার ভর্তুকি দিয়ে দেশের রিজার্ভ খেয়ে ফেলছে। দেশটাকে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া করে দিয়েছে।
জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। তারা ১৯৭৫ সালেও গণতন্ত্র হত্যা করে মনে করেছিল সারাজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকবে। কিন্তু পারেনি। জনরোষের মুখে সরকারের পতন হয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরকার। বাহিনীর আশ্রয়ে তারা টিকে আছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাদের রাস্তায় নামতে দেবে না। রাস্তায় নামলে জনগণ তাদের লাঠিপেটা করবে।
আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলনে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে। তাকে রাজনৈতিক কারণে কারাগারে রাখা হয়েছে। তার যে দৃঢ় মনোবল রয়েছে তা অন্য কারও নেই। আমাদের দায়িত্ব তাকে মুক্ত করা। বিএনপি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি শক্তিশালী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ডাকে সারাদেশে বিএনপির গণসমাবেশগুলো মহাসমাবেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। আপনারা জানেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এ আন্দোলন জাতীয় আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, দেশে বর্তমানে আর্থিক সংকট চলছে। এ সংকেটের জন্য আওয়ামী লীগ একমাত্র দায়ী। সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের অবস্থা এখন তলাবিহীন ঝুড়ির মত হয়ে গেছে। এ সময় তিনি বিএনপি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত মন্তব্য করে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে ইনশাল্লাহ।
এসএম ফজলুল হক বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর নির্ভর করে ক্ষমতাকে রক্ষা করা যাবে না। সরকার যখন দেউলিয়া হয়ে যাবে তখন কোনো সরকারি বাহিনী কিংবা বিশ্বস্ত আমলারাও সরকারের সাথে থাকবে না। সুবিধাভোগীরা তখন পালিয়ে যাবে। নয়তো আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়ে নিজেরা বাঁচার চেষ্টা করবে।
ব্যারিষ্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন বলেন, মাত্র তিন মাসের মধ্যে আমাদের ১২-১৩ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও আমাদের প্রত্যেকটা প্রোগ্রাম সফল হয়েছে। প্রত্যেকটা আন্দোলনে সাধারণ জনগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। আর সাধারণ জনগণ তখনি অংশগ্রহণ করে যখন তারা পরিবর্তন চায়। পরিবর্তন চায় কল্যানের জন্য, সমৃদ্ধির জন্য, শান্তি জন্য। এবং জনগণের শান্তি, কল্যাণ এবং সমৃদ্ধির যে আকাঙ্ক্ষা যুগে যুগে কেউ কখনো দাবিয়ে রাখতে পারে নাই। এই সরকারও পারবে না। আগামী দিনের সেই লড়াইয়ে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবে রহমান শামীম বলেন, এ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। লুটপাট করে ব্যাংকগুলো খালি করছে। সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে মানুষের দম বন্ধ হয়ে আসছে। মানুষ মুক্তভাবে শ্বাস নিতে চায়, গণতন্ত্র চায়। এ সরকারের পতন ছাড়া তা সম্ভব নয়। অচিরেই এ সরকারের পতন হবে ইনশাআল্লাহ। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়ে সরকারের বেসামাল মন্ত্রীরা এখন উল্টো-পাল্টা বকছেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকের জ্বালানি সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, বিদ্যুতের লোডশেডিং, বিদ্যুতের সংকট সবকিছুর মূলে এই সরকারের দুর্নীতি। লুটপাট ও চুরি করে সরকার দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র হয় না। এ দেশে এখন আর নির্বাচন নেই, গণতন্ত্র নেই। তাই গণতন্ত্রের জন্য, এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রয়োজন। সে মুক্তি কখন কীভাবে ঘটবে তা হয়তো এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে সেই মুক্তি অতি শিগগিরই হবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, রাজপথে ঢল নামবে, ঢেউ উঠবে, সেই ঢেউয়ে যে সুনামি সৃষ্টি হবে, তাতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার ভেসে যাবে। সরকারের পতন অনিবার্য।