আল্লাহ বাঁচাইছে যে, কুত্তার ভোট দেয়ার অধিকার নাই : মির্জা আব্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:৩১ পিএম, ৭ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়ীয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় আজ উপ-নির্বাচন হচ্ছে। সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রে ভোটার নাই। মিডিয়াতে প্রচার হচ্ছে- ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার একটি কেন্দ্রে তিন/চারটি কুকুর ঘুমিয়ে আছে। আল্লাহ বাঁচাইছে যে, কুত্তার ভোট দেয়ার অধিকার নাই। যদি থাকতো তাহলে কি সর্বনাশটা হয়ে যেতো এখন। উপ-নির্বাচনে ভোটার ছাড়া ভোট হওয়ার এমন চিত্র তুলে ধরলেন মির্জা আব্বাস। ’
আজ বুধবার বিকালে কমলাপুরে সিপাহী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে ‘নিরব পদযাত্রা’ কর্মসূচির শেষ দিনের কর্মসূচির শুরুতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গণমাধ্যমে প্রচারিত উপনির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এরকম চিত্র তুলে ধরেন।
‘‘এখন একটা খবর শুনলাম, একটা কেন্দ্রে কেনো ভোটার যাচ্ছে না। পুলিশ নাকী মাইকিং করতেছে, ভোটার ডাকতেছে।আমি আমার জীবনে শুনি নাই ভাই এরকম কথা অর্থাৎ পুলিশ মাইকে ডাকছে, ভোট দিতে আসেন।”
এই সময়ে নেতা-কর্মীরা ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘আমি আওয়ামী লীগকে বলে দিতে চাই, এই যে পদযাত্রা এই পদযাত্রায় আপনার ভীত নড়বড়ে হয়ে যাবে, নড়বড়ে হয়ে গেছে।”
‘‘আওয়ামী লীগ কিন্তু পায়ের আওয়াজ পেয়ে গেছে। ওই যে কারা আসছে? এরা কারা? এরা গণতন্ত্র চায়, এরা ভোটে অধিকার চায়, এদেশের গণমানুষের অধিকার আদায় করতে চায়- এরা টের পেয়ে গেছে। আমি নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস দেখছি, আমি বিশ্বাস করি, এই সরকারের পতন ইনশাল্লাহ অবশ্যই আমরা ঘটাব।”
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি চিতকার করি, আওয়ামী লীগ ভয় পায়, আমরা যদি নিবর থাকি, আওয়ামী লীগ ভয় পায়। আমরা নিরব পদযাত্রা করার কথা বলেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপির পদযাত্রায় রাস্তায় প্রকম্পিত হচ্ছে তাতে তারা ভয় পেয়ে গেছে। একেকজন চাটুকার একেক রকম কথা বলছে। কেউ বলছে বিএনপির মরণ যাত্রা, কেউ বলছে এটা, কেউ বলছে সেটা।”
‘‘আরে ভাই আমাদের পদযাত্রায় তোমাদের কি আসে যায়? যদি হ্যাঁ এটা তাদের শবযাত্রা হয়ে থাকে তাহলে কিছু আসে যায়। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব বলছে, এটা সরকারের বিদায়ের অগ্রিম শোভাযাত্রা, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একটা নাম দিয়েছেন। আমি আজকে বলছি, এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের শবযাত্রার পূর্ব অবস্থা। আমরা বলে দিচ্ছি, আপনাদের পতন শুরু হয়ে গেছে। এখন শুধু দেশের মানুষের সময়ের অপেক্ষা।”
বিদ্যুতের বার বার দাম বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, মাসে মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। ভাবটা এরকম যে, এটা কারো একটা রাজত্ব, রাজার হুকুম মতো দেশ চলবে। আমরা বলতে চাই, এই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হুকুম মতো চলবে, কারো রাজতন্ত্রে নয়।”
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও সদস্য সচিব র্রফিকুল আলম মজনু বক্তব্য রাখেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণে উদ্যোগে কমলাপুর সিপাহী বীরশ্রেষ্ঠ মোসস্তফা কামাল স্টেডিয়াম প্রাঙ্গন থেকে থেকে খিলগাঁও মোড় হয়ে মালিবাগ বাজার পর্যন্ত ৩ কিলো মিটার পথে দেড় ঘণ্টার ‘নিরব পদযাত্রা’ করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
রাজধানীর গাবতলী-মিরপুরের ব্যস্ততম সড়কে পদযাত্রা উপলক্ষ্যে ব্যাপক মানুষের সমাগমে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিএনপির পদযাত্রা উপলক্ষে কমলাপুর স্টেডিয়াম-খিলগাঁও সড়কে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
চারদিনের এই পদযাত্রা কর্মসূচির প্রথম দিন গত শনিবার বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ার থেকে মালিবাগের আবুল হোটেল, গত সোমবার যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন রেলগেইট এবং মঙ্গলবার গাবতলী থেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর পর্যন্ত পথযাত্রা করে বিএনপি।
এই পদযাত্রায় খিলগাঁও-মুগদা-শাহজাহানপুর-বাসাবো এলাকার নেতা-কর্মী ছাড়াও মহিলা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেয়।
পদযাত্রায় বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, সাইফুল আলম নিরব, রিয়াজ উদ্দিন নসু, মীর নেওয়াজ আলী, মহানগর উত্তরের কাজী আবুল বাশার, ইশরাক হোসেন, নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, লিটন মাহমুদ, হাবিবুর রশীদ হাবিব, তানভীর আহমেদ রবিন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, রুমা আখতার, নার্গিস আখতার, যুব দলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএস জিলানি, রাজিব আহসান, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, সুমন ভুঁইয়া, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমূখ নেতারা অংশ নেন।