রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই সকল রাজবন্দিদের কারামুক্ত করতে হবে : অ্যাড. মনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ৩১ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:০২ এএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বাকশালি পন্থায় বর্তমান অবৈধ সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার যে দিবাস্বপ্ন দেখেছিলো গণআন্দোলনের স্রোতে সে স্বপ্ন ভেসে গেছে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বর্তমান সরকার সত্য কথা সহ্য করতে পারে না। আন্দোলনের কর্মসূচি আসলেই তাদের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। বিএনপির চলমান অহিংস আন্দোলনেও গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দি রেখেছে।
তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের সকল সমাধান রাজপথেই হবে। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্ত করা হবে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চলছে। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণআন্দোলন চলছে উল্লেখ করে অ্যাড. মনা আরো বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গ্রেপ্তার হতে হতে শেষ যে ব্যক্তি থাকবেন, সেই ব্যক্তি এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন। আমরা বিশ্বাস করি এই আন্দোলন যেহেতু জনগণের আন্দোলে রূপান্তর হয়েছে, এটাকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে আন্দোলন চলছে, সেই আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে। তিনি আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি খুলনার বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে খুলনাবাসী সহ নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী পথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন ও মিছিলে অংশগ্রহণ করেন, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, খান জুলফিকার আলী জুলু, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ তৈয়েবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, আশরাফুল আলম খান নান্নু, এনামুল হক সজল, শেখ জাহিদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, ওহেদুর রহমান দিপু, বেগ তানভীরুল আজম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, কে এম হুমায়ুন কবির, শাকিল আহমেদ দিলু, কাজী মিজানুর রহমান, অ্যাড. চৌধুরি তৌহিদুর রহমান তুষার,নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আহসান উল্লাহ বুলবুল, অ্যাড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, মো. হাফিজুর রহমান, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, খায়রুল ইসলাম খান জনি, নাসির খান, শেখ আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, নাজমুল হুদা চৌধুরি সাগর, তারিকুল ইসলাম, জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, আলী আক্কাস, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজমুস সাকিব পিন্টু, আরিফুর রহমান, খন্দকার ফারুক হোসেন, সরোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, সাইদুজ্জামান খান, সরদার আব্দুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, শাহাদাত হোসেন ডাব্লু, গাজী আব্দুল হালিম, দিদারুল হোসেন, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, সামুল বারিক পান্না, সাইফুল রহমান, এস এম এনামুল হক, মোজাফ্ফার হোসেন, শামীম কবির, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, অ্যাড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, ডাঃ আব্দুল মজিদ,মোল্লা কবির হোসেন,আক্তারুজ্জামান সজিব তালুকদার, আবু সাঈদ শেখ, শেখ হেমায়েত আলী, আতাউর রহমান রুনু, খান ইসমাইল হোসেন,তুষার কান্তি মন্ডল, অ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, সেতারা সুলতানা, আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, ওহেদুজ্জামান হাওলাদার, এমদাদ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম লিটন, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, আজিজুল ইসলাম, শেখ আরশাদ আলী, লিটন খান, কাজী আব্দুল লতিফ, শেখ জাকির হোসেন, জাহিদুর রহমান রিপন, শেখ আব্দুল আলিম, আলতাফ খান, জহিরুল ইসলাম জুয়েল, জাহাঙ্গীর হোসেন,মনিরুজ্জামান মনি, হাসান আল মামুন বাপ্পি, মো. নজরুল ইসলাম,আবুল হোসেন, কামরুজ্জামান রুনু, কাজী সাইফুল ইসলাম, মাহবুব উল্লাহ শামীম, কে এম মাহবুবুল আলম, মোল্লা সালাউদ্দিন বুলবুল, জাকির ইকবাল বাপ্পি, মোল্লা আইয়ুব হোসেন, নাদিমুজ্জামান জনি, জাবির আলী, মঈদুল হক টুকু, সোহরাব হোসেন, শরিফুল ইসলাম টিপু, আনজিরা খাতুন, অ্যাড. হালিমা আক্তার খানম, নিঘাত সীমা, সালমা বেগম, কাওসারী জাহান মঞ্জু, পাপিয়া রহমান পারুল, লুবনা ইয়াসমিন, রাশিউর রহমান রুবেল, সাইফুল ইসলাম খান, সৈয়দ ইমরান, সাজ্জাত হোসেন জিতু, বি এম আকিজ উদ্দিন প্রমূখ।
নগরীর রেলস্টেশন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে পথ সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এসময় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ও সরকার বিরোধী বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেয়। বিভিন্ন সড়কে উপস্থিত খুলনাবাসী করতালি দিয়ে বিএনপির দাবিতে সর্মথন জানান।