এই পদযাত্রা সরকারের বিদায়ের অগ্রিম শোভাযাত্রা : খন্দকার মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ৩১ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:০৬ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে বর্তমান সরকারের বিদায়ের শোভাযাত্রা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, এটা (পদযাত্রা) এ সরকারের বিদায়ের অগ্রিম শোভাযাত্রা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকায় বিএনপির তৃতীয় দিনের পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধনীতে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, রাস্তায় আছি। আওয়ামী লীগ ভয়ে ভীত হয়ে আমাদের পদযাত্রাকে নানা নামে সমালোচনা করছে। আমরা আপনাদের বলতে চাই, আপনাদের সময় শেষ। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাংলাদেশ। অতএব প্রস্তুতি নেন। আমরা কিন্তু আপনাদের অগ্রিম বিদায়ের শোভাযাত্রা করছি এই পদযাত্রায়।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আপনারা এটাকে (পদযাত্রা) যা মনে করেন না কেন, আপনাদের বিদায়ের অগ্রিম শোভাযাত্রা হচ্ছে আমাদের এই শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, বর্তমান দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য, দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির। কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। আর বেগম খালেদা জিয়া দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। যাতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলো যারা ধ্বংস করে দিয়েছে, তারা এদেশে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সেজন্যই এ সরকারকে বিদায় করতে হবে।
দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবনমনের কথা উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এত লেখালেখি, বিদেশিরা এত চাপ দিচ্ছে, এরপরও কি পরিমান দুনীতি বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে! দুর্নীতি দমন তো দূরের কথা, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৩ থেকে ১২ তে নেমে এসেছে। এই দুর্নীতি করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সিন্ডিকেট। সুতরাং তাদের পক্ষে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়।
সমাবেশ উপলক্ষে বেলা দুইটা থেকেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গাবতলী বাস টার্মিনালের আরিচা সড়কে সমবেত হন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পদযাত্রা গাবতলী থেকে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তার আগে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহর (আমান) সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সমাবেশ পরিচালনা করেন উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক।
সমাবেশ ও পদযাত্রায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব,আব্দুস সালাম আজাদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ, যুবদলের সাইফুল আলম, আব্দুল মোনায়েম, ছাত্রদলের কাজি রওনকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।
পদযাত্রার কারণে যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তার একপাশে দাঁড়ান। এরপরেও রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত বাস টার্মিনাল গাবতলীতে বাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। রাস্তার একপাশ অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়।
এই পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে গাবতলীতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।