রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা
বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ২৬ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:৪৮ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা বলেছেন, জনসভাকে কেন্দ্র করে সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনীর অত্যন্ত অন্যায় ও নির্লজ্জভাবে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে যেয়ে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। সেইসাথে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলা করছে। যা মানবাধিকার লংঘনের সামিল বলে উল্লেখ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে বিনা কারণে আওয়ামী প্রশাসন দ্বারা রাজশাহী মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাসায় রাতের অন্ধকারে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে আওয়ামী প্রশাসনের এহেন কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। এই দলের সকল কর্মীবৃন্দ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন।
তিনি আরো উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয়োজনে চলতি মাসের ২৯ তারিখ রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠে জনসভা হবে। ঐ জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। বিএনপি উদারগণতান্ত্রিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের এই জনসভাকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন ও সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক লিমনসহ অন্যান্য নেতার বাড়িতে রাতের অন্ধকারে আওয়ামী প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশ করে হয়রানি করেছে। আগামীতেও হয়ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ধরনের কর্মকান্ডের জন্য আবারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। কিন্তু অনির্বাচিত নিশি রাতের সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে অবৈধভাবে দেশ পরিচালনা করছে। এই সরকার বিভিন্ন ভাবে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে লুটপাটের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে চরমভাবে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে দিয়েছে। এসবের প্রতিবাদে বিএনপি গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে। আর আন্দোলনে সকল বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের ডাকা সকল সভা সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখে এই ফ্যাসিস্ট সরকার ভীত হয়ে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।