বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চবে : অ্যাড. আহমেদ আযম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ২৫ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৪৬ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আহমেদ আযম খান বলেছেন, গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে রেখে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে আবার ৯০-এর দশকের মত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। ইভিএমের কারচুপির নির্বাচন জনগণ বুঝে গেছে। তাই সরকার নতুন ষড়যন্ত্র করছে। সরকারকে বলতে চাই এবার কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনৈতিক শক্তিসহ সারা বাংলার মানুষ জেগে উঠেছে। বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আজ বুধবার ২৫ ডিসেম্বর নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ভোটের জন্য মুক্তিযুদ্ধে করেছিল। দেশের জনগণ অন্যায়ের সাথে আপস করতে জানে না।
অ্যাড. আহমেদ আযম খান বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে দেশের গণতন্ত্র বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সাম্য, সমাজিক মর্যাদা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল। স্বাধীনতার মাত্র ৩ বছর পর ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে মাত্র ১৩ মিনিটের আলোচনায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে, মানবাধিকারকে গলাটিপে ও মানুষের ভোটের অধিকারকে হরণ করে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। সেই সময় জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছিল। পরবর্তীতে স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে আওয়ামী লীগ সরকার ষড়যন্ত্রমূলক, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে ওই মামলায় জেলে ঢোকানোর মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকারকে জেলে ঢুকিয়েছে এ সরকার।
অ্যাড. আহমেদ আযম খান বলেন, মহাস্বৈরশাসক বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় এসে কথা দিয়েছিল শুধু সংবিধান রক্ষার জন্য তারা নির্বাচন করেছিল। দ্রুত একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছিল তারা। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করে ৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। এরপর ২০১৮ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলে তাদের নির্বাচনে এনেছিল। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের ভোট তারা লুট করে নিয়ে গেছে ২৯ ডিসেম্বর রাতেই।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহনগর জাসাসের আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম হারুন, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক আরজানা সালেক, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি মামুনুর রশিদ মুকুট, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিযবুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকারিয়া ইসলাম জীম, কৃষক দলের সদস্য সচিব ফিরোজ রহমান পিন্টু প্রমুখ।