বাকশালের গোরস্থানের উপর গণতন্ত্রের বাগান করেছিলেন শহীদ জিয়া : নজরুল ইসলাম খান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২০ পিএম, ১৯ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:৪৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাকশালের গোরস্থানের উপর গণতন্ত্রের বাগান করেছিলেন শহীদ জিয়া। শহীদ জিয়া এমনই একজন নেতা যিনি দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে মুক্ত করেছিলেন। যিনি দুর্ভিক্ষ মোকাবেল করে জাতিকে স্বনির্ভর বাংলাদেশ উপহার দেন। তিনি আরো বলেন, আমরা শহীদ জিয়াকে গর্ববোধ করি, কারণ শহীদ জিয়া মানুষের কষ্ট দেখতে গ্রামের পর গ্রাম পায়ে হেটেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার গ্রামে হেটেছেন। হেটে হেটে জনগণের দু:খ-কষ্ট দেখেছেন এবং পরবর্তীতে তা সমাধানের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি সিলেটের হাওড়ে হেটেছেন। শহীদ জিয়া নেতাদের মাঠে যেতে বলেছেন এবং জনগণকে সংগঠিত করে সমৃদ্ধ দেশে গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্সিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় একথা বলেন।
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম কান বলেন, আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির তিনটি গৌরবের ভিত্তি শহীদ জিয়ার হাত ধরে এসেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য তিনি এদেশে প্রথমেই তৈরি পোষাক রপ্তানি শুরু করেন। তিনিই প্রথমে প্যারিসে ১০ হাজার পিস পোষাক রপ্তানি করেন। তৈরি পোষাক শিল্প এমন একটা সেক্টর যেখানে নারী-পুরুষ উভয়ের কর্মসংস্থান হয়। শহীদ জিয়া ১৯৭৬ সালে প্রথমে মধ্য প্রাচ্যের ৬টি দেশে সাড়ে ৮ হাজার শ্রমিক পাঠান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শহীদ জিয়া প্রথম বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ৯টি টেক্সটাইল মিল, ২টি সার কারখানা ও ১টি চিনি কল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই প্রথমে দেশের সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগান এবং মাছ রপ্তানি শুরু করেন। এছাড়া কৃষিখাতের উন্নয়ন তার হাত দিয়েই হয়। শুষ্ক মৌসুমে যাতে পানির সঙ্কট না হয় এ জন্য তিনি সারা দেশে খালকাটা কর্মসূচি গ্রহণ করেন এবং বিএডিসি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। আজকের পল্লী বিদ্যুৎ সৃষ্টি শহীদ জিয়ার হাতে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতিকে একটি সুস্পষ্ট নাগরিক পিরচিতি দিয়ে গেছেন। তা হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। আজ শত চেষ্টা করেও বর্তমান শাসক গোষ্ঠী সংবিধান থেকে তা বাদ দিতে পারেনি। বরং সংবিধানে এক অদ্ভূত ব্যাখ্যা দাড় করিয়েছে। আর তা হলো ব্যক্তি হিসেবে বাঙ্গালী আর নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশী। এরকম অনেক অদ্ভূত যিনি আজ সংবিধানে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এদশের যুব সমাজকে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যুব কমপ্লেক্স সৃষ্টি করেন। এ জন্য তিনি সমবায় মন্ত্রণালয় করেন। তিনি নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় করেন। যাতে করে দেশের নারী সমাজকে দেশের অগ্রগতিতে কাজে লাগানো যায়। শহীদ জিয়ার আমলে দেশেকে নিরক্ষর মুক্ত করতে ৫০ হাজার যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মাত্র আড়াই বছরে আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি রোপিত হয়। দেখতে দেখতে দেশ যখন জাপানসহ কয়েকটি দেশের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই দেশীয় ও আন্তর্জাতিকচক্র শহীদ জিয়াকে হত্যা করে। কিন্তু শহীদ জিয়ার আদর্শকে হত্যা করা সম্ভব হয়নি, তার প্রমাণ আজ দেশের অধিকাংশ নারী-পুরুষ আজ বিএনপি’র প্রতি আস্থা রাখে।
শহীদ জিয়া কোন প্রেক্ষাপটে রাজনীতিতে আসলেন তার বিবরণ দিয়ে বলেন, ৭৫’ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশে কার্যত দেশে কোনো সরকার ছিলনা। সংসদ ছিল না। প্রশাসনসহ সব জায়গায় ছিল বিশৃংখলা। এক অরাজক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে দেশের প্রয়োজনে সিপাহী-জনতা শহীদ জিয়াকে দেশের দায়িত্ব দেন।
প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা খান আরো বলেন, আজকের দেশের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে শহীদ জিয়ার আর্দশের সৈনিকেরা নিরব দর্শকের ভুমিকায় থাকতে পারে না। ক্ষমতাসীন সরকারের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতৃত্বে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেই আমরা ঘরে ফিরবো।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান। খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহীর, জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব ডা. গাজী আব্দুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. গাজী আব্দুর বারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এস আর ফারুক, বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী জুলু, স. ম. আব্দুর রহমান, সাইফুল আলম মিন্টু, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শের আলম শান্টু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, বদরুল আলম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, মোস্তফাউল বারী লাভলু, হাসানুর রশিদ চৌধুরি মিরাজ, এনামুল হক সজল, অ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, ডা. আব্দুল মজিদ, খায়রুল ইসলাম খান, ওহিদুর রহমান দিপু, ওহিদ হালিম ইমরান, তানভীরুল আজম, অ্যাড. আব্দুস সাত্তার, শাহিনুল ইসলাম পাখি, অসীত কুমার সাহা, রুবায়েত হোসেন বাবু, শাকিল আহমেদ দিলু, মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, ইলিয়াছ হোসেন মল্লিক, শেখ আসগার আলী, কে. এম. হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মো. হাফিজুর রহমান, কাজী মিজানুর রহমান, মনিরুজ্জামান লেলিন, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজির উদ্দীন নান্নু, আহসান উল্লাহ বুলবুল, অ্যাড. চৌধুরি আব্দুস সবুর, অ্যাড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, আরিফুর রহমান, খন্দকার ফারুক হোসেন, সেলিম সরদার, মো. আব্দুল হালিম, সরোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, রফিকুল ইসলাম বাবু, গাজী আফসার উদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সাইফুজ্জামান খান, হাসনাত রিজভি মার্শাল, সরদার আব্দুল মালেক, শেখ আব্দুস সালাম, রাহাত আলী লাচ্চু, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ফারুক হোসেন হিলটন, তারিকুল ইসলাম, শাহাদৎ হোসেন ডাবলু, মো. জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, মজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, আজিজা খানম এলিজা, শামসুল বারী পান্না, এবাদুল হক রুবায়েত, শফিকুল ইসলাম শাহিন, আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজিব, অ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, নুরুল ইসলাম বাচ্চু, শেখ আবু সাঈদ, ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, তাজিম বিশ্বাস, গোলাম মোস্তফা তুহিন, আতাউর রহমান রুনু, অ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, নিঘাত সীমা, শাহনাজ সরোয়ার, কাওসারী জাহান মঞ্জু, মরিয়ম খাতুন মুন্নি, আরিফা আশরাফি চুমকি প্রমুখ।