কুলিয়ারচরে বিএনপি নেতা শরীফুল আলমসহ ২২ বিরুদ্ধে মামলা গ্রেফতার ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫২ পিএম, ১৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:১৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম সহ ২২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনকে আসামী করে কুলিয়ারচর থানায় বিস্ফোরক আইনে ফের আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারী বিকেলে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের নান্নু ভুইয়ার পুত্র শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। যাহা কুলিয়ারচর থানার মামলা নং ১০ তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ইং। ধারা ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৩-ক/৪ তৎসহ দন্ডবিধি আইনের ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৪২৭/১১৪ ধারায়।
মামলার অপরাপর আসামীদের মধ্যে উপজেলার রামদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাফি উদ্দিন, বিএনপি নেতা আয়াত আলী, ইসমাইল খান, মোঃ সারফ উদ্দিন খান স্বপন, থানা যুবদলের আহব্বায়ক আজহার উদ্দিন লিটন, যুবদল নেতা সাজ্জাত হোসেন শামিম, আব্দুল আওয়াল, কামরুল ইসলাম মুছা ও আলম ভূইয়া সহ ২২ জনের নাম উল্লেখ ররেছে। মামলার বে-আইনী জনতাবন্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামা করার উদ্দেশ্যে মারাত্মক অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া হুকুম মতে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে মারপিট করিয়া সাধারন ও গুরুত্বর জখম করতঃ ক্ষতি সাধন এবং ককটেল বিস্ফোরন ঘটাইয়া আতংক সৃষ্টি করার অভিযযোগ করা হয়। ইতোমধ্যেই অত্র মামলায় সারফ উদ্দিন খান স্বপন, মোঃ জালাল মিয়া ও মোঃ ইয়াছিন আরাফাত এই ৩ জনকে গ্রেফতার করে আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেছে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে রামদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী মজলু মিয়া তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক দাবী করে বলেন গত ১৬ জানুয়ারি উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার লক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ানে গণসংযোগ করাকালে আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে দুই দফা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শরীফুল আলমের উপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে এবং রাতের আধারে যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় শামীম মিয়ার বসত বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে নগদ ৪ লাখ পাঁচ হাজার টাকা দুর্বৃত্তরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং রামদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির স’মিলে হামলা চালিয়ে করাত কল ও সেলু মেশিন ভাংচুর করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি করা সহ একটি দোকান ভাংচুর করে। এছাড়াও বিএনপি নেতা কবির মিয়া ও আতাউর মিয়ার বাড়িতে ভাংচুর করে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
তবে এ ঘটনায় রামদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলছেন ভিন্ন কথা।
তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শরীফুল আলম তার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে লক্ষীপুর থেকে ফেরার পথে আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থামায়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা তার উপস্থিতিতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দোকানপাটে হামলা চালায়। এতে মোঃ মাসুদ মিয়া কাপড়ের দোকান, রমজান মিয়ার হোটেল ও শচীন্দ্র মালাকার চায়ের দোকানসহ ৫ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অত্র মামলা দায়েরের আগে গত ৩ ডিসেম্ভর ২০২২ দুপুর ১২.১৫ ঘটিকায় উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের আবু তাহেরের পুত্র নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা কুলিয়ারচর থানার মামলা নং ১ তারিখ ৩/১২/২০২২ ইং। ধারা ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৩-ক/৪ তৎসহ দন্ডবিধি আইনের ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৪৩৬/৪০৭। ওই মামলায় উপজেলার রামদী ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি মজলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাফি উদ্দিন, বিএনপি নেতা আয়াত আলী, যুবদল নেতা সাজ্জাত হোসেন শামিম সহ ২০ নেতাকর্মীর নাম ও দলীয় পদবী উল্লেখ করে আরোও অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামী করা হয়।