প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন-নিপিড়ন চালাচ্ছে সরকার : প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৩ এএম, ১৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:১০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সরকার সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন-নিপিড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, কর্মসূচি পালনে বাধা দিতে চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছেন ক্ষমতাসীনরা।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, স্বাধীনভাবে রাজনীতি এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবার অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সরকারের মন্ত্রী-নেতারা হর-হামেশায়ই বলেন, দেশে সকলের রাজনীতি করবার অধিকার রয়েছে। বিদেশীদের সামনে তারা বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে সরকার নাকি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। সরকারের এই বয়ান বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য এই যে- সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা চালাচ্ছে। গণ-আন্দোলনে ভীত সরকার দমন-নিপীড়ন চালিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে উস্কানি-প্রতিবন্ধকতার মাধ্যমে তাণ্ডব সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, গতকাল দেশব্যাপী মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে ১০ দফা বাস্তবায়ন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে কর্মসূচি পালনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার দমন নিপীড়ন চালানো হয়, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং হামলা চালানো হয়।
প্রিন্স বলেন, গতকাল চট্টগ্রামে মিছিল পূর্ব সমাবেশ চলাকালে বিনা উস্কানিতে পুলিশ সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমন করে। বেধড়ক লাঠি চার্জ, গুলি, সাউন্ড বোমার হামলায় সমাবেশ পণ্ড করে দেয়। পুলিশের এই সাঁড়াশি অভিযানে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন, গ্রেফতার করা হয় ২০ জনকে। রাতে পুলিশ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম, সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর খানকে গ্রেফতার করে এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতারের উদ্দেশে তল্লাশি চালায়।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালনের সময় হামলা ও হতাহতের ঘটনা তুলে ধরেন এমরান সালেহ প্রিন্স।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শেখ শামীম, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।