কুলিয়ারচরে বিএনপি নেতা শরীফুল আলমের গাড়ী বহরে হামলার চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ১৬ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:১৭ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিদ্যুৎ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ১০ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১৬ জানুয়ারি উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার লক্ষে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ ও মতবিনিময়কালে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম এর গাড়ীতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের হামলা প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছে স্থানীয় স্থানীয় জনতা এবং বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিএনপি নেতা শরীফুল আলম বিকেলে উপজেলার আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌছলে স্থানীয় ছাত্রলীগ- যুবলীগের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে শরীফুল আলমের গাড়ীতে হামলা করার চেষ্টা করলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যায়।
সন্ধার পরে তিনি আগরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গোবরিয়া আব্দুল্লাহ্ ইউনিয়নের লক্ষিপুর বাজারে পৌছাইলে গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর শরীফুল আলমের উপর হামলার চেষ্টা করলে জনতার প্রতিরোধে তাঁরা ব্যর্থ হয়। এই পর্যায়ে পিএনপি'র এই নেতা দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা শেষে রাত সাড়ে ৮ ঘটিকার দিকে ফেরার পথে পুনরায় আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে পূর্ব থেকে উৎ পেথে থাকা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী অতর্কিতভাবে শরীফুল আলমের উপর হামলার চেষ্টা করলে শত শত দলীয় নেতা কর্মী তাঁদের প্রতিরোধ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্লা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা যুবদল নেতা সামজাদ হাসান শামীমের ওপর ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে রাতে রামদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাল উদ্দিন গভীর রাতে উপজেলা রামদি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী মজনু মিয়া ও উপজেলা যুবদলের যুন্ম আহবায়ক সামজাদ হোসেন শামিমের ব্যাসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে যুবদল নেতার স্ত্রী রাখসানা খাতুন বলন, রাত ২টার দিক পুলিশ পরিচয় দরজা খুলতে বলা হয়। দরজা খুলতে দেরি হলে দরজায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে ঘরে প্রবশ করে ছাত্রলীগ নেতা আকিবুর রহমান অপি। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাল উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা রানা খানসহ আরো কয়েকজন ঘরে প্রবশ করে।
এ সময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে। আলাল উদ্দিন লেপ তোষক বাহিরে ফলে দেয়। রানা ও অপি ফ্রিজ, টিভি, স্টিলের আলমারীসহ ঘরর সকল আসবাবপত্র ভাংচুর কর।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম।