‘আড়ি পাতার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ সাইবার অপরাধের শামিল’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ১৩ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:২৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আড়ি পাতার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ সাইবার অপরাধের শামিল বলে অভিযোগ করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। আড়ি পাতাকে বিধিসম্মত আইনি পোশাক পরানোর অতৎপরতা থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সাইফুল হক।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিরাপত্তার অজুহাতে সভ্য কোনো গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করতে পারে না। আড়ি পাতার বিদ্যমান তৎপরতার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ ও দমন করা।
তিনি বলেন, আধুনিক কোনো গণতান্ত্রিক সমাজ রাষ্ট্রকে যথেচ্ছভাবে তার নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকে আইনানুগ করার অনুমতি দিতে পারে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, বিপুল অর্থ ব্যয় করে ইসরাইলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকার বহু আগে থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে আইনবহির্ভূতভাবে আড়ি পেতে আসছে। এখন তাকে তারা আইনি কাঠামোয় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র-বিরোধিতা আর সরকার-বিরোধিতা এক জিনিস নয়। বস্তুত সরকার-বিরোধিতাকে রাষ্ট্র-বিরোধিতা আখ্যায়িত করে সরকার এখন বিরোধী মত, চিন্তা ও তৎপরতাকে দমন করতেই যেকোনো জায়গায় যেকোনো ব্যক্তির ওপর আড়ি পাতাকে বিধিসম্মত করতে চায়। সরকারের এই নিবর্তনমূলক তৎপরতা দেশের জনগণের সংবিধানস্বীকৃত মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার পরিপন্থী।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিধিবিধান আছে। নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রেখেই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি যেকোনো অপতৎপরতা রোধের ব্যবস্থা আছে। আড়ি পাতা ও নজরদারি সম্পর্কে কিছু আইনও আছে। এসব আইনের লঙ্ঘন করে ইচ্ছেমতো আড়ি পেতে যেকোনো ব্যক্তিকে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখা কোনোভাবেই অনুমোদনযোগ্য নয়।
তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় সরকারের এ উদ্যোগ রাজনৈতিক বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ ও দমনেই ব্যবহার করা হবে।