সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশকে ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে গেছে : ড. আসাদুজ্জামান রিপন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৬ পিএম, ৯ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:০৭ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে দেশকে ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে গেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ কী হবে আমরা বুঝি। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে চুরি ডাকাতির বাংলাদেশ। প্রতি মাসে আটাশ হাজার কোটি টাকা চলে যায়। বিদ্যুৎ খাঁতে ভর্তুকি আটাশ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়। সরকার চুরি না করলে বাংলাদেশে প্রতি মাসে একটি করে পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব শুধুমাত্র বিদ্যুৎ খাতের টাকা দিয়ে।
আজ সোমবার (৯ জানুয়ারী) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মিশনপাড়ায় হোসিয়ারি সমিতি মিলনায়তনে মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কোলকাতায় এখন ট্রাফিক পুলিশরা হাত দিয়ে গাড়ি থামায় না। আর আমরা নাকি ডিজিটাল হয়ে গেছি। যে দেশে হাত দিয়ে মাঝে মধ্যে সার্জেন্টদের দৌড়ে সামনে এসে গাড়ি থামাতে হয়, যারা ডিজিটাল দেশই কায়েম করতে পারল না তারা নাকি স্মার্ট বাংলাদেশ কায়েম করবে। পৃথিবীতে তিনটি দেশে ইন্টারনেট নেই বা ইন্টারনেট খুব দুর্বল। বাংলাদেশ সেই তৃতীয় দেশ। আমাদের নাকি ফাইভ জি হচ্ছি!।
গত নভেম্বরের দু’সপ্তাহে তিনটি ব্যাংক থেকে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেল। এনআইডি কার্ড ছাড়া সিমও কেনা যায় না, সেখানে তারা কোটি কোটি টাকা নিয়ে গেল। সরকার খোঁজ নেয় না। হাইকোর্টকে বলতে হল অনতিবিলম্বে খুঁজে বের করো এ টাকা কে নিল। এমন সরকার ক্ষমতায় থাকলে এদেশ ভয়াবহ অবস্থায় দাঁড়াবে। দেশে গুম খুন হচ্ছে, চাঁদাবাজি হচ্ছে। পুরো দেশ চাঁদাবাজদের দখলে চলে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আইনমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোর্টের রায় পড়েননি। সেই কপি হয়ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছায়নি। আওয়ামী লীগ নেতারা হয়তো তা পড়েননি। প্রতিদিন তারা বলে এতিমের টাকা চুরি করেছে। কোর্ট কি কোথাও বলেছে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বলেনি, কোর্ট বলেছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে আরও সচেষ্ট হওয়া উচিত ছিল। তারা তো একটা টাকাও তসরুফ করেনি। দুই কোটি টাকা আট কোটি টাকা হয়ে গেছে। এটা উন্নত দেশ হলে যারা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এসব কথা বলে তাদের দশ হাজার বছর জেল হত।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিল কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহবায়ক সরকার হুমায়ূন কবীর, আনোয়ার হোসেন আনু, এমএইচ মামুন, রেজা রিপনসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।