তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৭ পিএম, ৯ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:২৪ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বাংলাদেশে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া আর কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা। এই সরকার আবারও নিজেদের মত করে নির্বাচন করার লক্ষে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুদক ও আদালতকে ব্যবহার করা শুরু করেছে। কিন্তু এগুলো করে সরকারের শেষ রক্ষা হবেনা ।
আজ সোমবার (০৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টা হয়ে রাজশাহী মহানগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টাওে ১০দফা দাবী এবং রাষ্ট্র কাঠামা মেরামত রুপরেখা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষন মূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, সংবিধান কোন ধর্মগ্রন্থ নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবেনা। তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন শুরু করলে বিএনপি গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদের মাধ্যমে পাশ করে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেন। অথচ এই বিনা ভোটের সরকার ক্ষমতায় এসে তাদেও স্বার্থে সংবিধান বার বার পরিবর্তন করলেও তত্বাবধায়ক নিয়ে কোন কাজ তরা করছেন না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন কোন ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা নাই যে কোর্ট থেকে জামিন পাননি। অথচ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগন খালেদা জিয়াকে বিনা কারনে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্যেশ্য হাসিল করতে সাজা প্রদান করা করে জেলে রাখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতিটি পন্য জনসাধারনের নাগালের বাহিরে নিয়ে গেছে। এখন মানুষ অত্যন্ত অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। অথচ সরকার মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছ । এইগুলো অন্যায় থেকে বাঁচতে আইন শৃংখলাবাহিনী ও প্রশাসনযন্ত্র ব্যবহার করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু এ আশায় ছাই ছিটিয়ে দেবে বিএনপি। এজন্য দেশব্যাপি সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দশ দফা দাবী এবং সাতাশ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা দিয়েছেন। তিনি এই রুপ রেখা সভায় মাধ্যমে তুলে ধরেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহান মিনু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহারগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুর হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু।
রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ^নাথ সরকারের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, রোকনুজ্জামান আলম, আলী হোসেন, গোলাম মোস্তফা মামুন, রায়হানুল আলম রায়হান, কামরুজাজামান হেনা, তোফায়েল হোসেন রাজু, জাকিরুল ইসলাম বিকুল, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, জয়নাল আবেদিন শিবলী, শফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু,
আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, বর্তমান সদস্য মাহফুজুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগমা আহবায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আল-আমিন সরকার টিটো, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর তাঁতী দলের আহ্বায়ক আরিফুল শেখ বনি ও জেলা তাঁতী দলের আহবায়ক কুতুব উদ্দিন বাদশা।
এছাড়াও মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেন ও মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, মহানগর ছাকত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকিসহ মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।