বিচারপতি আছাদুজ্জামানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ছাত্রদল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ৭ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৪২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়া বিচারপতি মো. আছাদুজ্জামানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আজ শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আছাদুজ্জামানের কুশপুত্তলিকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেটি পোড়ায় তারা।
এর আগে তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণীর সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ফরমায়েশি রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আকতারুজ্জামান আক্তার ও সহ-সভাপতি নাছিরউদ্দিন নাছিরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রিয়াদ রহমান, মঞ্জুরুল রিয়াদ, হায়াত মাহমুদ জুয়েল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সহ-সম্পাদক তাইফুর রহমান ফুয়াদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, নাহিদুজ্জামান শিপন, ঢাকা কলেজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্লাদ হোসেন, ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাফিজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের জুতার মালা পরিহিত একটি কুশপুত্তলিকা নিয়ে নেতাকর্মীরা রায়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সেটি পোড়ানো হয়। এরপর এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আক্তারুজ্জামান আক্তার বলেন, বিচারহীনতার এই বাংলাদেশে দেশের জনগণ যখন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে রাজপথে নেমে এসেছে, ঠিক তখনই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের নেতা তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় ক্যাঙ্গারু কোর্ট এই রায় প্রদান করা করেছে। তারেক রহমানকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করে এখন আর লাভ হবেনা বরং এইসব ফরমেয়াশি রায় জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারক গদিচ্যুত করবে।
নাছিরউদ্দিন নাছির বলেন, তারেক রহমান ও ওনার সহধর্মিণী ডা. জুবায়দা রহমানের দেশে-বিদেশে কোন সম্পত্তি নেই। এই দেশের মাটি ও মানুষ অধিকার রক্ষা, স্বাধীন ও সার্বভৌমত্বের রক্ষা করাই জিয়া পরিবারের একমাত্র লক্ষ্য। জিয়া পরিবারের সুনাম কে বিনষ্ট করার জন্য সরকারের ফরমায়েশি এই এই রায় হয়েছে বলে এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে। যে রায় ফরমায়েশি সে রায় দেশের মানুষ মানে না।