চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৫ পিএম, ৭ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৩১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদ মর্যাদা) রফিকুল ইসলাম বলেছেন, সরকারের প্রতিহিংসায় দেশ আজ পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। দেশে বিরাজমান সীমাহীন দুর্নীতির মহাউৎসব দুদকের চোখে পড়ে না। ২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবার কলঙ্কের তিলক তৎকালীন আওয়ামী সরকার লাগিয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুগত ব্যবসায়ী এবং নেতাকর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ দুদক নেয় না। জনগণকে বিভ্রান্ত ও আন্দোলন দমন করতে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আবারো চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আর এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, এমন এক সময়ে জুবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের ফরমায়েশি আদেশ দেয়া হলো, যখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিপ্লব ও গণ-আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনে সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যা করেছে। বাধা, প্রতিবন্ধকতা, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, বিপুল দমন-পীড়ন চালিয়েও আন্দোলন নস্যাৎ করতে পারছে না। জনস্রোত ঠেকাতে পারছে না, তাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যে মামলায় হয়রানি করে নেতাকর্মী দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অবিলম্বে দলের তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এই আদেশ ও রায় বাতিল করার দাবি জানান তিনি।
আজ শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী ডাঃ জুবাইদা রহমান এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ আদালত কর্তৃক সম্পদ ক্রোকের অবৈধ রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা অবান্তর, ভিত্তিহীন, অমূলক। বর্তমান অবৈধ ভোটারবিহীন ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্তৃত্ববাদী কুশাসন থেকে এদেশের জনগণকে মুক্ত করার আন্দোলন যখন একদফা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে। ঠিক তখন উক্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াসই হচ্ছে এই হীন আদেশ। আমরা সরকারের হীন এই কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এসব মামলা, আদেশ,দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্ব বিতর্কিত বা ডা. জুবাইদা রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারবে না ।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান এর বিরুদ্ধে মামলার রায়ে যে আদেশ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক । হামলা-মামলা, খুন, চরিত্র হরণ করে কখনও ফ্যাসিবাদ টিকতে পারেনি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেও স্তব্ধ করা যায়নি। ইনশাআল্লাহ তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ এই গণআন্দোলন সরকারের সকল রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে বন্ধ করা যাবেনা।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, হারুন আল রশীদ, মামুনুর রহমান, মঈনুদ্দিন রাশেদ,হারুনুর রশিদ,মজুবুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া,যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল হক টুটুল, এম. আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, সাজ্জাদ হোসেন, দিদার হোসেন, জাকির হোসেন, এমদাদুল হোসেন স্বপন, মো. হাসান, সৈয়দ মফিজ উদ্দিন সুমন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম দিপু, সাহিত্য সম্পাদক লুৎফর রহমান জুয়েল ,তথ্য বিষয়ক সম্পাদক নুর আলম, সহ-প্রচার সম্পাদক জহির ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম,সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ খোরশেদ, সহ -শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বাকের হোসেন, সহ- শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোঃ পারভেজ, পতেঙ্গা থানা আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, বায়েজিদ থানা আহবায়ক আলতাফ হোসেন, খুলশী থানা আহ্বায়ক রায়হান আলম, কোতোয়ালী থানা আহ্বায়ক এন.মোঃ রিমন, ডবলমুরিং থানা আহ্বায়ক আকতার হোসেন বাবলু, চান্দগাঁও থানা আহ্বায়ক সাজিদ হাসান রনি, বন্দর থানার আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, বাকলিয়া থানা আহ্বায়ক মোঃ দুলাল মিয়া, চান্দগাঁও থানা সদস্য সচিব মো. শহিদুজ্জামান শহীদ, বন্দর থানা সদস্য সচিব আরমান শুভ, থানা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. পারভেজ, আরমান শুভ, কায়ছার হামিদ, জাহাঙ্গীর আলম, মো. শাহনেওয়াজ, সজল বড়ুয়া,নবী হোসেন,কামাল হোসেন খোকন, আব্দুল মান্নান, নাজিম উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, মো. সুমন, মো. ইমন, মো. সোহাগ।
মিছিলটি কাজীর দেউরি স্টেডিয়াম এর মেইন গেটের সামনে থেকে শুরু হয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষীন করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।