হেলমেট বাহিনীর রামদার কোপে আহত রাজশাহী সংবাদকর্মী

ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুটি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ। এদিকে অজ্ঞাত হেলমেট বাহিনীর লোকজন আতঙ্ক সৃষ্টি করতে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ৫ জনকে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে একজন সংবাদকর্মীও রয়েছেন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। আহতরা হচ্ছেন- আলাউদ্দীন, ফকরুল ইসলাম, আবু তাহের, জামাল হোসেন ও অনলাইন সংবাদকর্মী (৭১ সংবাদ ২৪ডটকম) ছদরুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় উপজেলার ভালুকগাছি ও শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর লোকজন বুথের মধ্যে প্রভাব খাটাচ্ছে। আর কিছু লোকজন বিভিন্ন রাস্তা ও মোড়গুলোতে হেলমেট পড়ে অবস্থান করে। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোটারদের বাধা দেয়।

প্রার্থীরা বলছেন- এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেও কোনো সুরাহা হয়নি।

ভালুকগাছি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামূল হক বলেন, ভোর থেকেই ইউনিয়নের তেলিপাড়া, এসআরজি, ফুলবাড়ি, নন্দনপুরসহ ৫টি ভোট কেন্দ্র দখলে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোকজন। ভোটাররা কেন্দ্রে আসলেও তারা ভয় দেখিয়ে পছন্দের প্রার্থীর মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার হয়নি।

তিনি বলেন, হেলমেট বাহিনীর লোকজন ধাকেড়াকুল এলাকায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে ৫ জনকে আহত করেছে। আর এ ঘটনার পর অনেক ভোটাররা ভয়ে আর আসতে চায়নি।

শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হায়াত বলেন, এই ইউনিয়নের বেশির ভাগ কেন্দ্র আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন দখল করেছিল। আওয়ামী লীগ সমর্থিত দলীয় লোকজন ছাড়া কাউকে কেন্দ্রে আসতে দেয়নি। সাধনপুর কেন্দ্রে কেউ এলেও ভোটের বাটন টিপেছে তারাই।

তবে শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, ভোট সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। যারা কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলেছেন সেটা মিথ্যা।

পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, সকালের দিকে নির্বাচনী এলাকার কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল।