রাজশাহীতে জাসাস’র ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
রাজশাহীতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এর ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী মহানগর জাসাস এর আয়োজনে আজ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী ভূবনমোহন পার্ক হতে বর্নাঢ্য র্যালি বের করেন জাসাস নেতৃবৃন্দ। এতে জাসাসসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
নেতাকর্মীরা র্যালি নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজারসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মালোপাড়াস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর জাসাস এর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রজব আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন।
মহানগর জাসাস এর সদস্য সচিব সেলিম রেজার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ড. হীরা সোবাহান, জেলা জাসাস এর সভাপতি অ্যাডভোকেট মুন্সি আবুল কালাম আজাদ, মহানগর জাসাস এর যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ রাজা, প্রফেসর হাসিম উদ্দিন বাপ্পী, প্রফেসর ড. সামিউল ইসলাম, সদস্য রেজাউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম বাবু, আরিফুল কবীর ও সোহেল রানা জীবন।
আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক খালেদ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন ও জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেনসহ মহানগর জাসাস এর অনান্য সদস্য, নেতাকর্মী ও বিএনপি, অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার, গণতন্ত্রের পুরোধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মুলধারার সংস্কৃতি আজীবন লালন ও জনগণের মধ্যে ধারণ করে রাখতে জাসাস গঠন করেছিলেন। তাঁর এই মুক্ত চিন্তার ফসল হিসেবে জাসাস আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সেইসাথে বাংলাদেশে সুস্থ্য সাংস্কৃতিক ধারা বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সুস্থ্য সংস্কৃতি এই সরকার ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন বাংলাদেশে যে সকল গান, নাটক ও সিনেমা হচ্ছে তা পরিবারের সদস্যদের সাথে বসে দেখা লজ্জাজনক হয়ে পরে। শুধু তাই নয় দেশের সাংস্কৃতিক ধারা বিনষ্ট হওয়ায় সকল সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ডিজিটাল এর নামে অপসংস্কৃতি দেশে প্রবেশ করে দেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, দেশের সংস্কৃতি রক্ষায় বিদেশী অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। তাহলে আবারও মানুষ হলমুখো হবে। বেঁচে থাকবে সুস্থ্যধারার সংস্কৃতি। শেষে বিএনপি ঘোষিত সরকার পতনের আন্দোলনে সবাইকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।