রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে দেশের মেরামত প্রয়োজন : ড. খন্দকার মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ গত দেড় দশকে যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে তা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের এখন মেরামতের প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার হীন উদ্দেশ্যে অনেক অযৌক্তিক মৌলিক সাংবিধানিক সংশোধন করেছে। তাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মেরামত করতে বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। এই রূপরেখার প্রথমেই বলা হয়েছে, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি একটি সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করবে, যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া সব সাংবিধানিক সংশোধনী এবং পরিবর্তনকে স্থগিত বা সংশোধন করা হবে।
তিনি গত শনিবার সন্ধ্যায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা ও ২৭ দফার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপির এই রূপরেখা হচ্ছে জাতির মুক্তির সনদ। আমরা এদেশের মানুষের ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেছি। এই দাবি উত্থাপন করার পর দেশের গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক, সকল দল, গোষ্ঠী, ব্যক্তি এই ১০ দফার পক্ষ নিয়ে সেগুলোকে সমর্থন করেছেন। দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আমরা এই যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য অচিরেই লিফলেট বিতরণ করব।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা দেশের ভোটার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করে দেশটিকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশে দুর্নীতি করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই সরকার থাকলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। তাই ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথে যখন নেমেছি, আদায় করে ছাড়ব। তাদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে বাধ্য করব।
তিনি বিএনপি ঘোষিত রূপরেখার ভিত্তিতে জনমত তৈরি করতে চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মরহুম জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর সন্তান জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক মনির আহম্মদ চৌধুরী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিমসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।