নির্যাতন-নিপীড়ন, হত্যা চালিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যাবে না : ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচীতে জনসম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে তাদের সময় শেষ, বিদায় নিতে হবে। আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন গুম-খুনের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। হত্যা-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী চেষ্টা করবেন না। জনগণের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার নিয়ে অনেকদিন ছিনিমিনি খেলছেন। জনগণের পিক দেওয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণ জেগে উঠেছে। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণের গণ মিছিলেই প্রমাণিত হয়েছে জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
আজ রবিবার বাদে আছর দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন মাঠে পুলিশের গুলিতে পঞ্চগড় জেলাধীন বোদা উপজেলার ময়দান দিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শহীদ আব্দুর রশিদ আরফিন এর গায়বানা জানাজা পূর্বক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, জনগণকে সরকার ভয় পায়। এই সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাটে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহব্বানে যখন জনগণ আজ রাজপথে নামতে শুরু করেছে, তখনই সরকার সারাদেশে গুম, খুনের রাজনীতি শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মামলা- হামলা-নির্যাতন, হত্যা করে বিএনপিসহ বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত হড়ে পড়েছে। এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। বেশিদিন আর টিকে থাকতে পারবে না। তাই পুলিশ দিড়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, নির্যাতন নিপীড়ন যত বেশি হবে আন্দোলন তত বেশি বেগবান হবে। বিএনপি নেতাকর্মীরা মামলা হামলাকে ভয় করেনা। এই সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি এবং থাকব।
শহীদ আব্দুর রশিদ আরফিন এর গায়বানা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, আলহাজ্ব ছালাউদ্দিন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগির, কাজী মোঃ সালাহ্ উদ্দীন, নগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল ফয়েজ, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড.আবু তাহের, আবদুল আউয়াল চৌধুরী, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, আবু আহম্মদ হাসনাত, আনোয়ার হোসেন, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মোঃ জসিম, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম স্বপন, ইউসুফ সিকদার, আলাউদ্দিন আলী নূর, নগর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হাজী নুরুল হক, তাঁতি দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটু, আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো:তোফাজ্জল হোসেন, যুবদল নেতা ফজলুল হক সুমন, আব্দুল গফুর, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিন রাসেল, মোঃ হাসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।