রাজশাহীতে বিএনপির গণমিছিল
বিএনপি ভোট ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জন্য আন্দোলন করছে : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫৭ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঢাকা বাদে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতে আজ শনিবার বেলা ২.৩০টায় গণমিছিল শুরু হয়। অসহনীয় দ্রব্যমূল্য, লাগাতার লোডশেডিং, দুর্নীতি-দুঃশাসন. গুম, হত্যা, মামলা-হামলা, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি অফিস ভাঙ্গচুর, বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আটককৃত সকল নেতাকর্মী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে এই গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী জেলা ও মহানগরে হাজার হাজার লোক নিয়ে গণমিছিল রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী ভূবনমোহন পার্ক থেকে শুরু হয়ে রাজশাহী মহানগরী প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউমার্কেট এলাকায় যেয়ে শেষ শেষ হয়। এ সময়ে সাহেব বাজারসহ পুরো এলাকা বিএনপির দখলে চলে যায় এবং মুহুর মুহুর স্লোগানে রাজশাহী শহর মুখরিত হয়ে ওঠে।
গণমিছিল ও পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটের অধিকার ও এই সরকারের নির্যাতনেন কবল থেকে রক্ষা করতে আন্দোলন করছে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। বিএনপি দিনের ভোট দিনে এবং জনগণের অধিকরা আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে দেশে সকল মানুষকে অংশগ্রহণ করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ডাক দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে তিনি বিএনপি ঘোষিত ১০দফা দাবী তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এই সরকার পৃথিবীর সকল স্বৈরাচার সরকারকে হার মানিয়েছে। ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করে রাখতে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ান্টে এবং কোন রকম মামলা ছাড়াই আটক করছে। দলের মহাসচিব, যিনি অতি সজ্জন বলে শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীতে পরিচিতি লাভ করেছেন। সেই মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কোনো রকম কারণ ছাড়াই রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে তুলে এনে আটক দেখিয়ে কারাগারে রেখেছে।
বিনা ভোটের এই অবৈধ সরকার ভাবছে দলের মহাসচিব, দলের চেয়ারপার্সন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, মাদার অব ডেমোক্রেসী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের আটক করলে বিএনপি আন্দোলন থেমে যাবে। বিএনপির একজন নেতা বাহিরে থাকলে সব ধরনের আন্দোলন চলমান থাকবে। যার প্রমান ঢাকার গণ সমাবেশ। কোন বাধাই বিএনপিকে রুখতে পারেনি। যার প্রমান জনগণ, দেশ বিদেশের সকল মিডিয়া বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপির আর হারানোর কিছু নাই। এখন শুধু পাওয়া আর পাওয়া। এই সরকার দেশকে তার পিতার ন্যায় আবারও তলাবিহিন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। সকল প্রকার নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। রেমিডেন্স কমে এসেছে। সরকারী রিজার্ভ অনেক কমে গেছে। গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংসের পথে। ব্যাংকের তারুল্য সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন নিত্যপণ্যেও মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। সেদিকে নজর না দিয়ে বিএনপির গণমুখি আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়ার জন্য এই ফ্যাসিস্ট সরকার উঠে পরে লেগেছে।
সরকারের পেটয়াবাহিণী দিয়ে ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী সন্ত্রাসী দিয়ে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি নেতাকর্মীদের হত্যা করছে। মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা এই সরকার লোপাট কওে বিদেশে পাচার করেছে। সুইচ ব্যাংকে রেখেছে। বিদেশে বাড়ি গাড়ি সব করে নিয়েছে। এই সকল অন্যায় ও অর্থ লোপাট এবং হত্যার বিচার সময় আসলে করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই সরকারের পতন ছাড়া বিএনপি ঘরে ফিরবেনা উল্লেখ করে চলমান সরকার পতনের আন্দোলনে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন প্রধান অতিথি।
গণমিছিল ও পথ সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য আবু বক্কার সিদ্দিক।
উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু, মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, আসলাম সরকার, জয়নাল আবেদিন শিবলী, শফিকুল ইসলাম সাফিক ও বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, রোকনুজ্জামান আলম, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, সদর উদ্দিন, রায়হানুল আলম রায়হান, গোলাম মোস্তফা মামুন, তাজমুল তান টুটুল, শাহজাহান আলী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মকবুল হোসেন, কামরুজ্জামান হেনা, সাইদুর রহমান মন্টু, শাহাদৎ হোসেন, আমিনুল হক মিন্টু ও তোফায়েল হোসেন রাজু।
আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল, রাজশাহী মহানগরর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান স্বজন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, সদস্য সচিব রেজাউল কমিরি টুটুল, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আল-আমিন সরকার টিটু, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, বর্তমান আহবায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক ও সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল।
এছাড়াও মহিলাদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সকিনা খাতুন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, সাংঘঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহম্মেদ রাহী ও সদস্য সচিব সানিনসহ রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।